Balurghat: বাঁশের সাঁকো থেকে আত্রেয়ী নদীতে তরুণ-তরুণী, অন্ধকারে সাংঘাতিক ঘটনা…

Balurghat: নদীতে পড়ে চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা। এলাকার লোকজন শুনে ছুটে এসে দড়ি ফেলে কোনওভাবে মেয়েটিকে তুলতে পারলেও, ততক্ষণে ছেলেটি ডুবে গিয়েছে বলেই দাাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান ডিএসপি হেড কোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ, বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা-সহ বালুরঘাট থানার পুলিশ। জেলা প্রশাসনের উদ্ধারকারী দলও হাজির হয়।

Balurghat: বাঁশের সাঁকো থেকে আত্রেয়ী নদীতে তরুণ-তরুণী, অন্ধকারে সাংঘাতিক ঘটনা...
তরুণীকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ যুবক।Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 12, 2024 | 11:04 PM

বালুরঘাট: আত্রেয়ী নদীর উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন তরুণ, তরুণী। আচমকাই পা হড়কে নদীতে। কোনওমতে মেয়েটিকে উদ্ধার করা গেলেও খোঁজ নেই যুবকের। শুক্রবার রাতে বালুরঘাট ব্লকের ডাঙ্গা গ্রামপঞ্চায়েতের রঘুনাথপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। বাঁশের সাকো উপর দিয়ে কালিকাপুর যাওয়ার সময় আত্রেয়ী নদীতে পরে যান তাঁরা।

নদীতে পড়ে চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা। এলাকার লোকজন শুনে ছুটে এসে দড়ি ফেলে কোনওভাবে মেয়েটিকে তুলতে পারলেও, ততক্ষণে ছেলেটি ডুবে গিয়েছে বলেই দাাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান ডিএসপি হেড কোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ, বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা-সহ বালুরঘাট থানার পুলিশ। জেলা প্রশাসনের উদ্ধারকারী দলও হাজির হয়।

জানা গিয়েছে নিখোঁজ যুবকের নাম তন্ময় ঘোষ (২৫)। বাড়ি বালুরঘাট থানার রঘুনাথপুর ট্যাঙ্ক মোড় এলাকার বাসিন্দা তিনি। যুবতীর বাড়ি ১১ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘটনার পরই আত্রেয়ী নদীতে নৌকা নামানো হয়। তবে অন্ধকারে উদ্ধারকাজে সমস্যা হয়। এলাকার লোকজনের কথায়, নদীর উপর বাঁশের চাটাই মার্কা সেতু। সবসময়ই দুলতে থাকে। কখন কী বিপদ হয় সেই ভয়ে থাকতে হয়। কংক্রিটের সেতুর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

স্থানীয় বাসিন্দা মনোজ ওরাওঁয়ের কথায়, ” আমি চিৎকার শুনে ছুটে যাই। দেখি মেয়েটা জলে ভাসছে, ছেলেটা ততক্ষণে ডুবে গিয়েছে। কোনওমতে মেয়েটাকে টেনে তুলি। তবে ছেলেটাকে পাইনি। মনে হচ্ছে তলিয়ে গিয়েছে। ওরা হয়ত ওপারে যাচ্ছিল দরকারে। বাইক রেখে ওপারে যাচ্ছিল। বাঁশের সাঁকো। পড়ে যায় কোনওভাবে।”

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বিশ্বনাথ ঘোষ বলেন, “শুনছি চেঁচাচ্ছে আমাদের বাঁচাও। দেখি ছেলেটা আর মেয়েটা হাবুডুবু খাচ্ছে। এরপর একটা ছেলে দড়ি এনে তুলল মেয়েটাকে। তবে ছেলেটাকে তুলতে পারিনি। মেয়েটাকে চিৎকার করে ডাকছে, বলছে বাবাইকে বাঁচাও।”