DA Protest: ডিএ ধর্মঘটের জের, শুধু দক্ষিণ দিনাজপুরেই শোকজ ৬৬৮ শিক্ষক-শিক্ষিকা

Balurghat: প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে গত ১০ মার্চ সারা রাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্কুলের প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকারা ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন ৷

DA Protest: ডিএ ধর্মঘটের জের, শুধু দক্ষিণ দিনাজপুরেই শোকজ ৬৬৮ শিক্ষক-শিক্ষিকা
ডিএ আন্দোলন (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 29, 2023 | 7:11 AM

বালুরঘাট: ডিএ বা মহার্ঘ ভাতা দাবিতে ১০ মার্চ যে সকল সরকারি কর্মচারিরা সরব হয়েছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সেই সব প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের করা হচ্ছে শোকজ। জেলায় এমন ৬৬৮ জন শিক্ষক শিক্ষিকাকে করা হয়েছে শোকজ ৷ গত সোমবার থেকে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের তরফ থেকে শোকজ নোটিস ধরানো হয়েছে। গতকালের পর মঙ্গলবারও নতুন করে তিনজনকে শোকজ করা হয়েছে। যদিও এই শোকজ নিয়ে কোনও রকম ভয়ভীতি নেই আন্দোলনে সামিল হওয়া শিক্ষকদের ৷

প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে গত ১০ মার্চ সারা রাজ্যের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন স্কুলের প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকারা ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন ৷ স্কুলে না গিয়ে ধর্মঘটে সামিল হওয়ায় সেই সব প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নিতে শোকজ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে জেলার ১ হাজার ১৮২ টি প্রাথমিক স্কুলের মধ্যে একাধিক স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের শোকজ করা হয়েছে৷ গত সোমবার আরও ৬৬৫ জনকে এবং মঙ্গলবার নতুন করে তিনজনকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের উত্তর যুক্তিপূর্ণ না হলে পরে নেওয়া হতে পারে সেই সব শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা। তবে এক্ষেত্রে রাজ্যের তরফে যে নির্দেশিকা আসবে সেই মত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই ডিপিএসসির চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা জানিয়েছেন। আগামী ২৯ তারিখ এসআইদের কাছে সেই শোকজের উত্তর দেবেন শিক্ষকরা। এবং আগামী ৩০ তারিখ সেই উত্তর ডিপিএসসি’র কাছে এসে পৌঁছবে। এদিকে শোকজ করার বিষয়ে কোনওভাবেই চিন্তিত নন ধর্মঘটের শামিল হওয়া শিক্ষকরা।

এবিষয়ে ধর্মঘটের শামিল হওয়া নিখিললবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সদস্য তথা শিক্ষক অনিমেষ চক্রবর্তী বলেন,”সরকার যতই আমাদের খাড়া আনুক আমরা কোনও কিছুতে ভয় পাই না। এই সরকার ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ডিএ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই জায়গা থেকে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে গত ১০ মার্চ ধর্মঘটে সামিল হন সরকারি কর্মীরা। আমাদের নৈতিক অধিকার রয়েছে ধর্মঘট করার।” যদিও, এবিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি শুকলাল হাঁসদা জানিয়েছেন যে, এনিয়ে তাদের কোনও মতো মন্তব্য নেই। তবে প্রশাসন যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সকলকেই মানতে হবে ৷