Balurghat: যক্ষ্মা রোগীকে দেওয়া হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ, কাঠগড়ায় বালুরঘাটের সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র

Balurghat: বালুরঘাট শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নামাবঙ্গী এলাকায় থাকেন অমিত ঘোষ। প্রায় মাস দুয়েক আগে জানতে পারেন তিনি যক্ষ্মা আক্রান্ত। তাঁকেই মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

Balurghat: যক্ষ্মা রোগীকে দেওয়া হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ, কাঠগড়ায় বালুরঘাটের সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র
উদ্বেগ বাড়ছে পরিবারের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 16, 2023 | 7:10 PM

বালুরঘাট: যক্ষ্মা রোগীকে দেওয়া হচ্ছে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ (Expired medicines)। কাঠগড়ায় সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র। বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার বালুরঘাট (Balurghat) শহরের নামাবঙ্গীতে। এদিকে যে যক্ষ্মা রোগীকে ওই ওষুধ দেওয়া হয়েছিল তাঁর শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যেই বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের দ্বারস্থ হয়েছে তাঁর পরিবার। কিন্তু, সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে কী করে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হয়? তা নিয়ে শুরু হয়েছে বির্তক। ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক, মত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাসের। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। 

সূত্রের খবর, বালুরঘাট শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নামাবঙ্গী এলাকায় থাকেন অমিত ঘোষ। প্রায় মাস দুয়েক আগে জানতে পারেন তিনি যক্ষ্মা আক্রান্ত। আর্থিক সক্ষমতা না থাকায় হতদরিদ্র ওই পরিবার অমিতের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের শরণাপন্ন হন। শহরের কুন্ডু কলোনি এলাকার সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকেই যক্ষ্মার ওষুধ নিয়ে আসেন অমিতের পরিবারের সদস্যরা। যদিও তখনও তাঁরা খেয়াল করেননি যে ওষুধটির মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে। অমিতবাবু ততক্ষণে ওষুধের পাতা থেকে খেয়ে ফেলেছেন ৪২টি ওষুধ। 

গত বৃহস্পতিবার এই বিষয়টি প্রথম নজরে আসে অসুস্থ অমিতের বাড়িতে ঘুরতে আসা তাঁর নিকট আত্মীয় ভাস্কর ঘোষের। ঘটনা জানতে পেরে চোখ কপালে ওঠে গোটা পরিবারের। জানা যায়, প্রায় ২ মাস আগের মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে দেওয়া হয়েছে ওই অসুস্থ রোগীকে। শুক্রবার অমিত ও তাঁর পরিবারের লোকেরা শহরের ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র যেতেই সেখানে শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন কর্তা ভুল স্বীকার করলেও কয়েকজন আবার অমিতের পরিবারের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। এরইমধ্যে ওইদিন রাত থেকেই ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়েন অমিত। উদ্বেগ বাড়তে থাকে গোটা পরিবারের। যদিও এ বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাস বলেন, “বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক। খুব বড় কিছু হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবু এমন ঘটনা ঘটনার কথা নয়। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”