Anganwadi Center: বছরের শেষ দিনে চুরি, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দরজা ভেঙে শিশুদের খাবার লুঠ
South Dinajpur: সূত্রের খবর, হিলি থানার ধলপাড়া পঞ্চায়েতের লালপুর যুবকল্যাণ সংঘের পাশেই ২৯ নম্বর লালপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র।
বালুরঘাট: কী কাণ্ড! অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দরজা ভেঙে লুঠ বিভিন্ন খাওয়ার সামগ্রী। সেন্টারের মুল দরজা ভেঙে শিশুদের খাওয়ার সামগ্রী চুরি করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। শনিবার সকালের এ হেন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার লালপুর এলাকায়৷ দুষ্কৃতী তাণ্ডবের নেপথ্যে স্থানীয় নেশারু যুবকেরা বলে দাবি বাসিন্দাদের। দোষীদের গ্রেফতারের শাস্তি চাইছে মানুষজন। খবর পেতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হিলি থানার পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এখনো কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
সূত্রের খবর, হিলি থানার ধলপাড়া পঞ্চায়েতের লালপুর যুবকল্যাণ সংঘের পাশেই ২৯ নম্বর লালপুর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ষাটজন শিশু রয়েছে। পঠনপাঠনের ঘর সহ একটি রান্নার ঘর রয়েছে। অভিযোগ, এদিন সকালে ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র দরজা ভাঙা নজরে আসে স্থানীয়দের। পরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকারা সেন্টারে পৌঁছে আঁতকে ওঠেন। দরজা ভেঙে দুষ্কৃতীদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে লুঠের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ঘটনার জেরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশুদের পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে পড়ে। শিশুদের জন্য সুষম আহার বিতরণ প্রক্রিয়াও ব্যাহত হয়। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হিলি থানার পুলিশ আধিকারিকেরা।
এ বিষয়ে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা রেখা মণ্ডল বলেন, “সকালে সেন্টারে এসে দেখছি ঘরের দরজা ভাঙা। পাঁচটি চেয়ার, ৪টি বড় হাঁড়ি ও ৫০ কেজি চাল ও ৬০টি ডিম চুরি হয়েছে। কারা এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বুঝতে পারছি না। থানায় অভিযোগ জানাব। ঘরের অবস্থা খারাপ জন্য পাশের বাড়িতে সেন্টারের জিনিস রাখা থাকত। কিন্তু সমস্যার জন্য এই ঘরের সব কিছু রাখতে বাধ্য হই। চুরি যাওয়া সামগ্রীগুলো উদ্ধার হোক এবং দোষীদের গ্রেফতার করে শাস্তির দাবি করছি।”
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন মাহাত বলেন, “সকালে অন্যের কাছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে চুরি হয়েছে বলে জানতে পারি। তারপর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে এসে দেখি কিছুই নেই। দুষ্কৃতীরা সবই চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। এমন ঘটনায় এলাকারই হিরোইন, গাঁজাখোররা জড়িত বলে সন্দেহ হচ্ছে। তাছাড়া হঠাৎ এমনভাবে চুরি হবে না। নেশারুদের উপার্জন নেই। তারাই এইসব চুরি করে তা থেকে নেশার টাকা জোগাড় করে। এইভাবে চুরি হলে উদ্বেগ বাড়বে। মানুষের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হবে। পুলিশ দ্রুত দুষ্কৃতিদের পাকড়াও করে কড়া শাস্তি প্রদান করুক।”
অন্যদিকে এবিষয়ে হিলি থানার আইসি গণেশ শর্মা বলেন, “পুলিশ তদন্তের জন্য অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” “