বালুরঘাট: সোমবার রাত পর্যন্তও টানটান উত্তেজনা সীমান্তে। রাতের অন্ধকারে যাতে কোনও মাছিও না গলতে পারে, সীমান্তে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। সোমবার হিলিতে দুই বাংলার সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেও থমথমে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি আন্তর্জাতিক সীমান্ত। সোমবার বিকাল থেকেই দুই দেশের মধ্যে লোক যাতায়াত বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ বন্ধ ছিল আন্তর্জাতিক ব্যবসা। সোমবার কোনও আমদানি রফতনি হয়নি হিলি সীমান্ত দিয়ে। মঙ্গলবার থেকে হয়তো স্বাভাবিক হবে, এই আশাতেই এদিন সকাল সকাল বহু বাংলাদেশি নাগরিক হিলি সীমান্তে আসতে শুরু করেন। গত কয়েক দিনের ঘটনার পর চরম উৎকন্ঠায় রয়েছেন তাঁরা।
বাংলাদেশি নাগরিকরাই জানাচ্ছেন, পরিবার পরিজনের সঙ্গে যোগাযোগ সেভাবে হচ্ছে না। তাই দেশে ফিরতে মরিয়া তাঁরা। গতকাল হিলি সীমান্তে এসেও অনেকে ফিরে গিয়েছেন। বাংলাদেশের হিলিতে দোকানপাট সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে। শুনশান ওপার বাংলার হিলির রাস্তা। আজ দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত শুরু হবে কি না তা নিয়েও ধন্দ রয়েছে।
সোমবার রাতেই হিলি সীমান্তে এসে পৌঁছেছে দুই গাড়ি সেনাবাহিনী। হিলির একটি ক্লাবে তাঁরা রয়েছেন। সীমান্তে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তার জন্য সীমান্তে লাগানো হয়েছে টেন্ট। এদিকে বাংলাদেশের অশান্তির জেরে ভারতে অনুপ্রবেশ বাড়তে পারে। তার জন্য দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি সহ গোটা ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে হাই এলার্ট জারি করা হয়েছে।
সীমান্তে বিএসএফের পাশাপাশি পুলিশ বিশেষ নজর রাখছে। হিলি সীমান্তে রয়েছে পুলিশের কমব্যাট ফোর্স। সোমবারই পুলিশ সুপার বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এদিকে জেলার ৩০ কিলোমিটার উন্মুক্ত সীমান্ত রয়েছে। সেখানে বাড়ি নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ।