AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বাড়িতে ঢোকাত পরপুরুষদের? মা-মেয়েকে বুঝিয়ে দিলেন এলাকাবাসী

Balurghat: এরপর স্থানীয় মহিলারা দল বেধে প্রথমে ওই বাড়িতে হানা দেয়। পরে অভিযুক্ত মেয়ের চায়ের দোকান ভেঙে দেন। এমনকী, মা মেয়ের মুখে কালি লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ।

বাড়িতে ঢোকাত পরপুরুষদের? মা-মেয়েকে বুঝিয়ে দিলেন এলাকাবাসী
বাড়িতে কী হচ্ছিল? Image Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 14, 2025 | 8:18 PM
Share

বালুরঘাট: বাইরের লোকজনকে বাড়িতে এনে দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ। এই ইস্যুতে শনিবার ফের উত্তপ্ত হল এলাকা। এলাকাবাসীর বক্তব্য, ওই পরিবারের বাড়িতে (মা-মেয়ে থাকেন) প্রায় প্রতিদিনই বহিরাগত ছেলে-মেয়েদের আনাগোনা চলছে। গত মঙ্গলবার এক যুগলকে হাতেনাতে ধরার পরও, শনিবার ফের এক যুগলকে ওই বাড়িতে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা।

এরপর স্থানীয় মহিলারা দল বেধে প্রথমে ওই বাড়িতে হানা দেয়। পরে অভিযুক্ত মেয়ের চায়ের দোকান ভেঙে দেন। এমনকী, মা মেয়ের মুখে কালি লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। পরে পুলিশ পৌঁছে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে দু’জনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

জানা গিয়েছে, বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একই বাড়িতে মা ও মেয়ে দীর্ঘদিন ধরে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ। প্রায় দিনই বাইরে থেকে নতুন নতুন ছেলে মেয়ে আসে ওই বাড়িতে বলে দাবি। বছর খানেক আগেও দেহ ব্যবসার বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলেছিলেন গ্রামবাসীরা বলে অভিযোগ। সেই সময় মা মেয়ে এলাকাবাসীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। এমন কাজ কোনও দিন করবে না বলে আশ্বাস দিয়েছিল। তাই গ্রামবাসীরা তাঁদের শুধরে যাওয়ার জন্য সময় দিয়েছিলেন।

অভিযোগ, এদিকে কয়েক দিন যেতে না যেতেই ফের ওই মা-মেয়ের বিরুদ্ধে দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ ওঠে। রোজদিন বাড়িতে মদের আড্ডা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে তাঁদের ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। এক যুগলকে পুলিশ ধরেও নিয়ে আসে। যদিও পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

এদিকে এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই শনিবার আবার ওই বাড়িতে ফের বহিরাগত যুগলরা আসে। তখন তাঁদের বাড়িতে প্রথমে চড়াও হন গ্রামের মহিলারা। এরপর তাঁর দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। গ্রামবাসীদের বক্তব্য কোনও রকম ভাবেই তাঁরা মা ও মেয়েকে গ্রামে থাকতে দেবেন না। স্থানীয় বাসিন্দা অমিত কর্মকার বলেন, ” ” অভিযুক্ত মহিলা বলেন, “আমার বাড়িতে একটা ছেলে আর মেয়ে এসেছিল। ওরা বসেছিল। শুধুমাত্র সন্দেহর ভিত্তিতে গ্রামবাসীরা ঘরে ঢোকে। তারপর বলে ওদের বলে বিয়ে দেবে। আমায় এলাকায় থাকতে দেবে না বলে এইসব করছে।”