Kumargunj Suicide: সন্ধ্যা হতেই হন্তদন্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছিল, ঘরে একা থাকার সুযোগে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাল কিশোরী
South Dinajpur: জানা গিয়েছে, মৃতা স্থানীয় একটি স্কুলে ক্লাস টেনে পড়াশুনা করছিল। বাবা অনেক দিন আগেই মারা গিয়েছে। মা আর্থিক অনটনের মধ্যে মেয়ে ও ছেলেকে কোনও রকমে মানুষ করছেন।
কুমারগঞ্জ: পড়াশোনায় ভাল ছিল মেয়েটা। সামনের বছরই মাধ্যমিক দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু হল না! ‘সামান্য কারণে’ মা বকাবকি করেছিল সকলের সামনে তার জেরেই ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাল নাবালিকা। আর তার জেরে মর্মাহত পরিবারের সদস্য থেকে শুরু এলাকাবাসী।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুমারগঞ্জের ঘটনা। ছাগলে প্রতিবেশীর পাট খেয়েছে। সেই কারণে মা বকাবকি করেছিল। তার জেরে অভিমান করে আত্মঘাতী হল দশম শ্রেণির ওই পড়ুয়া। মৃতার নাম রেণুকা খাতুন (১৫)। তার বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের ভোঁওর গ্রাম পঞ্চায়েতের সীতাহার এলাকায়। রবিবার বিকেল নাগাদ বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই কিশোরী। পরে পুলিশকে খবর দেয় পরিবারের সদস্যরা। কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের পাঠায়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃতা স্থানীয় একটি স্কুলে ক্লাস টেনে পড়াশুনা করছিল। বাবা অনেক দিন আগেই মারা গিয়েছে। মা আর্থিক অনটনের মধ্যে মেয়ে ও ছেলেকে কোনও রকমে মানুষ করছেন। রেণুকা ছোট থেকেই পড়াশুনায় ভাল। রবিবার বিকেলে বাড়ির ছাগল মাঠে নিয়ে গিয়ে চড়াছিল সে। এদিকে সেই সময় প্রতিবেশী এক ব্যক্তির পাটের ক্ষেতে ঢুকে ছাগলে পাট খায়। বিষয়টি নজরে আসতেই এর জন্য তার মাকে প্রতিবেশী ওই ব্যক্তি গালিগালাজ করে। এদিকে রেণুকার মা আবার তাকে বকাবকি করে। সন্ধ্যা হয়ে আসছিল দেখে মেয়েটি বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। তখন তার মনে হয় তার মনে হয় মা যদি আসে আবার বকা দিতে পারে তাকে। এই আশঙ্কা থেকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা রেণুকার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। পরে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়।
এবিষয়ে মৃতার আত্মীয় ইউসুফ আলি জানিয়েছেন, রেণুকাদের ছাগল অন্যের পাট খাওয়ায় প্রতিবেশী ব্যক্তিদের গালিগালাজ করে। এরপর রেণুকার মা তাকে বকাবকি করে মাঠেই। ফের বাড়িতে গিয়ে বকাবকি করবে এই ভাবনা থেকে আত্মঘাতী হয় ওই কিশোরী। এ বিষয়ে মৃতার আর এক আত্মীয় গোলাম ইয়াজদানী বলেন, গতকাল বিকেলে কেউ না থাকার গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় মেয়ে। এবারে ক্লাস টেনে উঠেছিল। মাঠেই একবার বকাবকি করেছে মা। সেটা তার আত্মসম্মানে লেগেছে৷ আবার বাড়িতে এসে বকাবকি করতে পারে এটা ভেবেই সে আত্মঘাতী হয়েছে বলে অনুমান করছেন।
অন্যদিকে কুমারগঞ্জ থানার পক্ষ জানানো হয়েছে, বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাটে পাঠিয়েছেন। এ নিয়ে কোনও অভিযোগ পাননি।