বালুরঘাট: পকসো মামলায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতার বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করল বালুরঘাট স্পেশ্যাল পকসো আদালত। আদালতের সেই নোটিস শনিবার দুপুরে বালুরঘাট পুর এলাকায় ওই নেতার বাড়িতে লাগায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। শুধু বাড়িতে নয় জনবহুল বালুরঘাট বাস স্ট্যান্ড চত্বরের সেই নোটিশ লাগায় পুলিশ। এ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়৷ সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতার বাড়িতে তাঁর ছেলে ছিল৷ পুলিশ দেখে সে বেরিয়ে যায়। এরপর বাড়িতে এক মহিলা তালা মেরে বেরিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে ওই বিরুদ্ধে কাজ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মোবাইল দোকানের শৌচাগারে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল বালুরঘাট থানা সংলগ্ন এলাকায়। এ নিয়ে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার৷ অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ৷ বালুরঘাট জেলা আদালতে পকসো মামলা দায়ের হয়৷ তারপর থেকে ফেরার রাকেশ শীল। এদিকে ওই সময় আইএনটিটিইউসির পদে ছিলেন ওই নেতা। ঘটনা সামনে আসতেই তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এদিকে দীর্ঘদিন ফেরার থাকার পর অবশেষে আদালতের তরফে হুলিয়া জারি করা হয়৷ সেই আদালতের নোটিসই এদিন লাগানো হয়।
এ নিয়ে জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি সুভাষ চাকির দাবি, আইন আইনির পথে চলবে। উনি কোনও পদে ছিলেন কিনা সেটা ফলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা বলতে পারবে। অন্যদিকে পাল্টা বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার আক্রমণ শানিয়েছেন। চাঁচাছোলা ভাষায় বলেন, একজন গুন্ডাকে বের করে আবার একজন জেলে ঢোকায়। পুলিশ এতদিনে কেন তাঁকে ধরতে পারল না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।