Balurghat: ২ ভোটার কার্ডের একটিতে তিনি পুরুষ, আর একটিতে মহিলা, অবাক-কাণ্ড বালুরঘাটে
বালুরঘাট পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে SIR ফর্ম জমা নেওয়ার সময় বিএলও-র নজরে আসে ঘটনাটি। তাঁর সঙ্গে থাকা তৃণমূল ও বিজেপির বিএলএ-২ বিষয়টি লক্ষ্য করেন। এরপরই সঙ্গে সঙ্গে বিএলও বিষয়টি বিডিও ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানান।

বালুরঘাট: একই ব্যক্তির নামে দু’টি ভিন্ন ভোটার কার্ড। এসআইআর-এর ফর্ম দিতে গিয়ে বিষয়টি নজরে আসে। যাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বালুরঘাট পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলপুরের বাসিন্দা আরতি চাকি। তাঁর নামে দুটি আলাদা এপিক নম্বর পাওয়া গিয়েছে। দু’টি কার্ডেই নাম ও ঠিকানা এক হলেও, পার্থক্য রয়েছে অভিভাবকের নাম ও পুরুষ মহিলার পরিচয়ে। একটিতে তিনি মহিলা, অপরটিতে পুরুষ উল্লেখ করা হয়েছে।
বালুরঘাট পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে SIR ফর্ম জমা নেওয়ার সময় বিএলও-র নজরে আসে ঘটনাটি। তাঁর সঙ্গে থাকা তৃণমূল ও বিজেপির বিএলএ-২ বিষয়টি লক্ষ্য করেন। এরপরই সঙ্গে সঙ্গে বিএলও বিষয়টি বিডিও ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক আধিকারিকদের জানান। বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা ওই বাড়িতে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
জানা গিয়েছে,আরতি চাকি (৬৫)। বহু বছর আগে স্বামী বিনয় চাকিকে হারিয়েছেন। প্রায় ২০-২৫ বছর আগে নিখোঁজ হন তাঁর একমাত্র ছেলে বিজয় চাকি। স্বামী বিনয় ছেড়ে গিয়েছেন তাঁকে। মেয়েকে ও নাতিকে নিয়ে থাকেন বৃদ্ধা। অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করেন। এবং মেয়ে বিভা চাকি পরিচারিকার কাজ করেন। আরতিরদেবীর কাছে ২০১০ সালের একটি ভোটার কার্ড রয়েছে। যেখানে সব তথ্য সঠিক রয়েছে। কিন্তু ২০১২ সালে আবার একটি নতুন কার্ড পান তিনি। কেউ বা কারা ফের ভুল বুঝিয়ে আরও একটি ভোটার কার্ড দিয়ে যায় তাঁকে। তাতে লিঙ্গ পুরুষ এবং অভিভাবকের স্থানে নিখোঁজ ছেলের নাম উল্লেখ রয়েছে।
বিজেপি অভিযোগ তুলেছে, ভুয়ো ভোটার তৈরির চক্রান্ত চলছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই দুটি এপিক কার্ডের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যা ভাইরাল হয়েছে।
এদিকে আরতীদেবীর বক্তব্য, প্রথম কার্ডে কিছু ভুল ছিল না। তবে পরে কয়েকজন এসে তাঁকে বলে কার্ডে ভুল রয়েছে। এরপর দ্বিতীয় কার্ড দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। বর্তমানে একটি কার্ডেই ভোট দেন তিনি। বালুরঘাটের বিডিও সোহম চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি নজরে এসেছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
