AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Laxmir Bhandar: ২১ বছরেই এই বুদ্ধি! লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেতে জন্মের ঠিকুজি কুষ্ঠি বদলে দিলেন মহিলা

Laxmir Bhandar: অভিযুক্তের নাম ভারতী দেবনাথ। তিনি বালুরঘাটের জগদীশপুরের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে ভুয়ো আধার কার্ড তৈরির। জানা গিয়েছে, আসল আধার কার্ডে কারচুপি করে বাড়ানো হয়েছে বয়স। এমনকী, বদল করা হয়েছিল ঠিকানা। তবে নকল আধার কার্ডেও রেখেছিল আসল আধারের নম্বর।

Laxmir Bhandar: ২১ বছরেই এই বুদ্ধি! লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেতে জন্মের ঠিকুজি কুষ্ঠি বদলে দিলেন মহিলা
এই মহিলার বিরুদ্ধে নকল আধার তৈরির অভিযোগImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 26, 2024 | 5:11 PM
Share

বালুরঘাট: ভুয়ো আধার কার্ড বানিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন এক গৃহবধূ। বিষয়টি ধরা পড়তেই বিডিও অফিস থেকে পালিয়ে গেলেন তিনি। এদিন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট বিডিও অফিসে। এই ঘটনায় বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে বালুরঘাট ব্লক প্রশাসন। ঘটনার তদন্তে নামেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।

অভিযুক্তের নাম ভারতী দেবনাথ। তিনি বালুরঘাটের জগদীশপুরের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে ভুয়ো আধার কার্ড তৈরির। জানা গিয়েছে, আসল আধার কার্ডে কারচুপি করে বাড়ানো হয়েছে বয়স। এমনকী, বদল করা হয়েছিল ঠিকানা। তবে নকল আধার কার্ডেও রেখেছিল আসল আধারের নম্বর।

সেই ভুয়ো আধার কার্ড নিয়েই গতকাল বালুরঘাট ব্লক অফিসে আসে ভারতী দেবনাথ আসেন। আবেদন করেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য। সেই নথি অফিসের কর্মীরা যাচাই করতে গেলে নজরে আসে কারচুপির বিষয়টি। আসল আধার কার্ডের তথ্য অনুযায়ী, ওই মহিলার জন্ম ২০০১ সালের অক্টোবর মাসের ৮ তারিখে। অথচ জাল আধার কার্ডে গৃহবধুর জন্মের তারিখ ১৯৯৭ সাল। আসল বয়স ২১ বছর হলেও তা ভুয়ো আধার কার্ডে ২৫ বছর করা হয়। শুধু তাই নয়, ভুয়ো আধার কার্ডটিকে কিছুটা ঝাপসা করে তৈরি করা হয়েছিল। যাতে ওই মহিলার ছবি বা অন্য তথ্যগুলো পরিষ্কার বোঝা না যায়। এবং সেটি ল্যামিনেশনও করিয়ে এনেছিলেন যাতে অফিসের চোখে ধুলো দেওয়া যায়।

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতে গেলে ২৫ বছর হওয়া বাধ্যতামূলক। তাই ওই মহিলা চার বছর বয়স বাড়িয়ে নিজের ব্লক থেকে অন্য ব্লকে আবেদন করেছিলেন। বিষয়টি জানার পরই বিডিও অফিস চত্বর থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। এ প্রসঙ্গে বালুরঘাটে বিডিও সম্বল ঝাঁ বলেন, “লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম ফিলাপের জন্য নূন্যতম বয়স ২৫ হতে হয়। উনি একটা আধার কার্ড দেন। যেটা দেখে সন্দেহ হয়। তারা আমার কাছে নিয়ে আসেন। এরপর ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখি এই ভদ্রমহিলার নামে আধার কার্ড রয়েছে। ওঁর আসল বয়স ২১। বাড়িয়ে ২৫ করেছে। ঠিকানাও চেঞ্চ করেছেন। এরপর জিজ্ঞাসা করতেই উনি পালিয়ে যান।”