New Year celebration in Corona Situation: মাস্কহীন মুখের ভিড়, পিকনিকে বেলাগাম উচ্ছ্বাস, করোনা আতঙ্কের মধ্যে এ কেমন বর্ষবরণ!

Corona Guideline overruled: রাজ্যে প্রতিদিন বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। নয়া স্ট্রেইন ওমিক্রন পাওয়া গিয়েছে বাংলার ১৭ জনের শরীরে। তবু উৎসবের খামতি নেই।

New Year celebration in Corona Situation: মাস্কহীন মুখের ভিড়, পিকনিকে বেলাগাম উচ্ছ্বাস, করোনা আতঙ্কের মধ্যে এ কেমন বর্ষবরণ!
উচ্ছ্বাস আছে, নেই সতর্কতা। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 01, 2022 | 4:38 PM

তপন: নতুন বছরের প্রথম দিন, তার সেলিব্রেশন তো থাকবেই। কিন্তু নতুন বছরে যে ফের মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা কাঁটা। রাজ্যে প্রতিদিন বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। নয়া স্ট্রেইন ওমিক্রন পাওয়া গিয়েছে বাংলার ১৭ জনের শরীরে। তবু উৎসবের খামতি নেই। সেই উচ্ছ্বাসের মেজাজে হারিয়ে কোথায় গেল করোনা বিধি! মাস্কবিহীন মুখ নিয়ে পিকিনিকে ব্যস্ত মানুষজন। নেই সচেতনতার ন্যূনতম রেশটুকুও। দনভর এমনই ছবি দেখা গেল দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনে।

করোনার তৃতীয় ঢেউ যখন দরজায় কড়া নাড়ছে, সেই সময় নতুন বছরের প্রথম দিনে উৎসবের মেজাজে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাবাসী। শনিবার দেখা গেল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন থানার পাহাড়পুর ফরেস্ট পিকনিকে আসার ঢল সাধারণ মানুষের। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে মানুষ পিকনিক করতে আসছেন পাহাড়পুরে। তাঁদের অধিকাংশের মধ্যে করোনা নিয়ে সচেতনতার ন্যূনতম ছবি দেখা যায়নি। বেশিরভাগেরই মুখে নেই মাস্ক। আর দূরত্ব বিধি তো বহু দূরের কথা। লাউড স্পিকারে বাজছে গান। তার তালে নাচছে মাস্কবিহীন মুখরা। এ যেন জেনেবুঝে নিজেদের বিপদ ডেকে আনা।

পিকনিকের আনন্দে মজে থাকা এই মানুষজনের অনেকের মুখে নেই মাস্ক। এমনকী সামাজিক দূরত্ব বিধি মানার কোনও বালাই ছিল না। দল বেঁধে নাচগান ও ঘুরতে দেখা যায় সবাইকে। অনেকের দাবি, পকেটে মাস্ক থাকলেও তিনি মুখে পরেননি। কেন পরেননি, তার উত্তরে কেউ বোকার হাসি হাসছেন। কেউ বা বলছেন, ‘এই তো পরে নিলাম’। আর প্রশাসনের তরফে সচেতন করা হলেও মানুষ যদি নিজে থেকে সজাগ না হয়, তাহলে কাজটা আরও কঠিন বলে মনে করছেন তাঁরা।

পুলিশকে কিছু দূরে দেখে কেউ মাস্ক পরছেন বটে, তবে সরে গেলে ফের মাস্ক গলায় নেমে হল মাদুলি। সকাল থেকে প্রশাসনের সঙ্গে এমনই ‘লুকোচুরি খেলা’ খেলছেন সাধারণ মানুষ।

শুধু তাই নয়, করোনার পাশাপাশি পাহাড়পুর পিকনিক স্পটে ডিজের আওয়াজে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। প্রত্যেকটি পিকনিক দলের সঙ্গেই রয়েছে একটি করে ডিজে সাউন্ড সিস্টেম। পুলিশ থাকলেও তা ছিল পুরো ঢিলেঢালা। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার চলছে। সুযোগ খুঁজে নেবে করোনাও। তবু তা নিয়ে উদাসীন এক শ্রেণির মানুষ।

প্রসঙ্গত, করোনা আবহ এবং অরণ্যের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার জন্য বালুরঘাটের একাধিক ফরেস্ট পিকনিকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বন দফতর। গত বছর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। পাহাড়পুর বন দফতরের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশিকা এখনও দেওয়া রয়েছে। কিন্তু সেই নির্দেশিকাকে উপেক্ষা করেই চলছে দেদারে পিকনিক। যা নিয়ে প্রশ্নের মুখে প্রশাসনও।

আরও পড়ুন: Chandannagar Municipal Election: ‘লাল ফেরাও, হাল ফেরাও’, চন্দননগরে এ মন্ত্রেই ভোটের ময়দানে বামেরা