SDIN Fraud Case:আধার কার্ডের ভুল সংশোধন করেছিলেন গ্রামবাসীরা, এটাই ‘দোষ’! পুলিশ ধরে ভরে দিল জেলে…অন্য প্রতারণার পর্দাফাঁস

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Feb 24, 2022 | 10:23 AM

South Dinajpur Fraud Case: গঙ্গারামপুর থানার ফুলবাড়ি আউসা গ্রামের বাসিন্দা রেহেন সাবেক। ওই এলাকার দুই বাসিন্দা মামুন মিঁঞা ও রবিউল মিঁঞা।

SDIN Fraud Case:আধার কার্ডের ভুল সংশোধন করেছিলেন গ্রামবাসীরা, এটাই দোষ! পুলিশ ধরে ভরে দিল জেলে...অন্য প্রতারণার পর্দাফাঁস
প্রতারিত গ্রামবাসীরা (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

দক্ষিণ দিনাজপুর: প্রথমে ভালো পরিচয় জমানো, টুকটাক বিভিন্ন কাজ করে বিশ্বাস-ভরসা অর্জন। গ্রামে তুলনামূলক শিক্ষিত যুবকের মার্জিত কথাবার্তায় ভরসাও করেছিলেন নিতান্ত দেহাতি মানুষগুলো। তাই ওই যুবক যখন আধার কার্ড সংশোধন করিয়ে দিতে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন, তাঁর কথায় ভরসা করেছিলেন গ্রামবাসীরা। অনেকেই তাঁর কাছে নথিপত্র নিয়ে যেতে শুরু করেন। আর সেই সুযোগেই আধার কার্ড সংশোধনের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে অভিনব কায়দায় প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটিনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার ফুলবাড়ি আউসা এলাকায়। ঘটনা জানাজানি হতেই গ্রাম ছাড়া ওই যুবক। গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ ওই যুবকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছেন।

ঘটনাটি ঠিক কী?

গঙ্গারামপুর থানার ফুলবাড়ি আউসা গ্রামের বাসিন্দা রেহেন সাবেকি। ওই এলাকার দুই বাসিন্দা মামুন মিঁঞা ও রবিউল মিঁঞা। দিনমজুরির কাজ করার ওই দুই ব্যক্তিকে আচমকাই পুলিশ ১৭ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পুলিশ জানায়, তাঁদের দুজনেরই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকার লেনদেন হয়েছে, যা বেআইনি। মামুন মিঁঞার অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা এবং রবিউল মিঁঞার অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে এবং সবটাই হয়েছে অনলাইন মারফত। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।

দিনমজুরির কাজ করে কীভাবে তাঁরা এত টাকার লেনদেন করতে পারেন, তা নিয়েই ওঠে প্রশ্ন। এদিকে, ওই দুই ব্যক্তির নামে যে নতুন করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাও তাঁরা জানতেনই না। তদন্তে নেমে কল্যাণী থানার পুলিশের হাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। উঠে আসে মূল অভিযুক্ত রেহেন সাবেকির নাম। ২০১৭ সালে তাঁরা রেহেনকে আধার কার্ড সংশোধনের জন্য দিয়েছিলেন। আর সেখানেই গোলোযোগ।

তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, এরকম একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে একই কাজ করেছেন রেহেন। অর্থাৎ তাঁদের আধার কার্ড সংশোধনের নাম করে নিয়ে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে ভিন রাজ্যে টাকা লেনদেন করেছেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক রেহেন সাবেকি।

এক গ্রামবাসী বলেন, “আমাদের বলেছিল আধার কার্ডে ভুল থাকলে দিও, ঠিক করিয়ে দেব। অনলাইনেই হচ্ছিল। আমরা তাই দিয়ে দিই। কীভাবে বুঝব এমনটা করবে। পরে তো যখন গ্রামের দুজনকে পুলিশ তুলে নিয়ে গেল, তখন বুঝলাম। এখন গুজরাট থেকেও পুলিশ আসে। এরকম একাধিক গ্রামবাসীকে ফাঁদে ফেলেছে ও।”

আরও পড়ুন: Anis Khan Death: ‘লাশ চুরি হয়ে যাবে না তো!’ আনিস মৃত্যু রহস্যে নয়া আশঙ্কা

Next Article