বালুরঘাট: একদিকে করোনার প্রকোপ হু হু করে বাড়ছে। অন্যদিকে বনের পরিবেশ যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য বালুরঘাটের বেশ কিছু পিকনিক স্পটে পিকনিকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল বালুরঘাট জেলা বন দফতর। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ফরেস্টের সামনে বন দফতরের পক্ষ থেকে পিকনিক না করার পোস্টার লাগানো হয়েছে। পাশাপাশি কেউ যাতে সেখানে ঢুকতে না পারে তার জন্য পুলিশ ও বনকর্মী মোতায়েন রয়েছে।
মূলত বালুরঘাট বন দফতরের অধীনে থাকা ডাঙা ফরেস্ট, দোগাছি ফরেস্ট ও কাশীপুর ফরেস্টে পিকনিক বন্ধ রাখা হয়েছে। এ দিকে বন দফতরের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পরিবেশপ্রেমীরা।
মূলত বন দফতরের অধীনে থাকা বালুরঘাটের বিভিন্ন ফরেস্টের অবস্থা খুবই খারাপ। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বিশাল এই বনবিভাগের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। মূলত প্লাস্টিকের ব্যবহার-সহ পিকনিকের নোংরা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে সেখানে। যার জেরে বন ধ্বংস হচ্ছে বলে অভিযোগ। এদিকে করোনার জন্য গত বার থেকেই পিকনিকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। এবারও একই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকল। জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানানো হয়েছে, পিকনিক ও আনন্দ উদযাপন করোনা বিধি মেনেই করতে হবে। তা না হলে সংক্রমণের গ্রাফ নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিল হবে।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশপ্রেমী তুহিনশুভ্র মণ্ডল বলেন, “বালুরঘাট সংলগ্ন যে পিকনিকের জায়গাগুলো রয়েছে যেমন বালুরঘাট ফরেস্ট, দোগাছি ফরেস্ট, কাশীপুর ফরেস্ট সেখানে গিয়ে দেখলাম বনদফতরের তরফে একটি নোটিস দেওয়া হয়েছে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ। বনদফতর ও পুলিশের পক্ষ থেকে নজরদারিরও ব্যবস্থা আছে। বুঝতেই পারলাম পিকনিক বন্ধ করার জন্য এটা নির্দেশ হিসাবে দেওয়া হয়েছে। ভাল লেগেছে বিষয়টা। পিকনিক করার পর আমরা দেখেছি বন বিভিন্ন ভাবে দূষিত হয়ে রয়েছে। বনাঞ্চলের পরিবেশ দূষিত হয়ে রয়েছে। থার্মোকলের থালা, প্লাস্টিকের গ্লাস আরও বহু কিছু। সেদিক থেকে এটা নিঃসন্দেহে একটা ভাল পদক্ষেপ। একইসঙ্গে এটা যাতে সবসময় বজায় থাকে সেটা দেখতে অনুরোধ জানাব। মানুষ আনন্দ করুক, পিকনিক করুক। কিন্তু পরিবেশকে বাঁচিয়ে, পরিবেশকে ভাল রেখে এটাই তো আমরাও চাই।”