South Dinajpur: মেয়েকে দেখেই বুকে জড়িয়ে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন বাবা! গলা বুজে এল মেয়েরও
South Dinajpur: ২০১৫ সালে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক দিয়েছিলেন ঈশিতা। সেটা বংশীহারী রসিদপুর হাসপাতালের বেডে বসে। সেই সময়ই তিনি এক প্রকার শপথ নেন, বড় হয়ে চিকিৎসক হবেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর: যুদ্ধের দেশ থেকে বাড়ি ফিরল মেয়ে। মেয়েকে পেয়ে জড়িয়ে ধরে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন বাবা। এ এক চরম আবেগঘন মুহূর্ত। দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারীর ঈশিতা রহমান। ইউক্রেন থেকে রবিবার সন্ধ্যায় এলাহাবাদ গ্রামপঞ্চায়েতের পাঠানপাড়ার বাড়িতে ফিরে আসেন। মেয়েকে কাছে পেয়ে কান্না চেপে রাখতে পারেননি ঈশিতার বাবা ও পরিবারের অন্যান্যরা।
ঈশিতা বলেন, “খুব ভয়ে দিন কাটছিল আমাদের। আমরা বেসমেন্টে লুকিয়ে থাকতাম। এদিকে বাইরে অহরহ বোমাবর্ষণ। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। আমি কিয়েভে ছিলাম। কিছু বন্ধু ছিল খারকিভে। সব জায়গাতেই একই অবস্থা। দূতাবাস থেকে আমাদের বলা হয়েছিল কোনওভাবে সীমান্ত যেন আমরা পার করে আসি। এই সীমান্ত পার করাই খুব কঠিন ছিল। তারপর অবশ্য ভারতীয় দূতাবাস থেকে সমস্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুব ভালই তদারকি করেছে।”
২০১৫ সালে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক দিয়েছিলেন ঈশিতা। সেটা বংশীহারী রসিদপুর হাসপাতালের বেডে বসে। সেই সময়ই তিনি এক প্রকার শপথ নেন, বড় হয়ে চিকিৎসক হবেন। হোমিওপ্যাথিতে সুযোগ পেলেও এলোপ্যাথি নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা ছিল ঈশিতার। সেই মত ২০১৯ সালে ইউক্রেনে ডাক্তারি পরার সুযোগ পান তিনি। আপাতত সেখানেই পড়াশোনা করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে যে পরিস্থিতি উদ্ভূত হল তাতে আর কোনওভাবে সেখানে থাকা সম্ভব নয়।
ঈশিতা বলেন, “সবসময় আমরা বোমা বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেতাম। দিনরাত সাইরেন বাজছে। ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতি। কিয়েভ আর খারকিভ সবথেকে ভয়ঙ্কর এখন। আমি তো কিয়েভেই ছিলাম। বলে বোঝাতে পারব না কী অবস্থা হয়েছিল। জীবন নিয়ে সংশয় ছিল। ফিরব কি না কিছুই জানতাম না।”
এদিকে ইউক্রেনের যুদ্ধপরিস্থিতি যতই গুরুতর হচ্ছিল, ততই চিন্তা বাড়ছিল ঈশিতার পরিবারের। মেয়েকে ফেরানো নিয়ে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল বাবার। বাড়ির সকলের একটাই প্রার্থনা ছিল, মেয়ে যেন নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরে আসে। রবিবার সন্ধ্যায় অবশেষে ঘরে ফিরল ঘরের মেয়ে। স্বস্তি পরিবারের।
আরও পড়ুন: Crime News: ফিটফাট শাড়ি, রাস্তার ধারে বসেছিল মহিলা! তার মনে যে এমন ছিল, কে জানত…
আরও পড়ুন: Kolkata Book Fair: বইয়ের পাতায়ও কি যুদ্ধ লাগে? বইমেলায় রাশিয়ার ফাঁকা স্টল উস্কে দিচ্ছে প্রশ্ন