Balurghat: দু’মাসের বেতন বাকি, প্রতিবাদে কাজ ‘বন্ধ’ অধ্যাপকদের, রেজাল্ট না পেয়ে ফাঁপড়ে পড়ুয়ারা

Balurghat: বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ জন অতিথি অধ্যাপক রয়েছে। দীর্ঘদিন ক্লাস করালেও এতদিন বেতন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সমস্যা হয়নি। কিন্তু অভিযোগ, গত জুন মাসের প্রথমেই হিলি গভমেন্ট কলেজের অধ্যাপক কৌশিক মাঝি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন।

Balurghat: দু’মাসের বেতন বাকি, প্রতিবাদে কাজ ‘বন্ধ’ অধ্যাপকদের, রেজাল্ট না পেয়ে ফাঁপড়ে পড়ুয়ারা
উপাচার্যের কথা বলছেন পড়ুয়ারা Image Credit source: TV 9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2024 | 9:03 PM

বালুরঘাট: সমস্যা যেন মিটছেই না দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। আটকে রয়েছে দ্বিতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টারের ফলপ্রকাশ। এদিকে রেজাল্ট না পেয়ে অন্য কোর্সে ভর্তিও হতে পারছেন না পড়ুয়ারা। শেষে বাধ্য হয়ে আন্দোলনের রাস্তায় পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার বিকালে উপাচার্যের কাছেও যান তাঁরা। পড়ুয়াদের অভিযোগ, নতুন রেজিস্ট্রার আসার ফলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছে। সূত্রের খবর, নতুন রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়েও নিয়মিত আসেন না। এমনকি অতিথি অধ্যাপকদের বেতন বিলেও সই করছেন না৷ ফলে অধ্যাপকদের বেতন ২ মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে। সেই প্রতিবাদে অধ্যাপকরাও পরীক্ষার নম্বর ওয়েবসাইটে আপলোড করছেন না। ফলে এই রেজাল্ট আটকে পড়েছে। 

সোজা কথায় সব অভিযোগই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দিকে। অনেকেই বলছেন, তাঁর অসহযোগিতার ফলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। যদিও এদিন উপাচার্য পড়ুয়াদের সঙ্গে রেজাল্টের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তবে কবে রেজাল্ট বেরবে, তা উপাচার্য এবং পড়ুয়ারা বলতে পারেননি। ফলে পড়ুয়ারা এবার আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়ে বসেছেন।  

এই খবরটিও পড়ুন

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ জন অতিথি অধ্যাপক রয়েছে। দীর্ঘদিন ক্লাস করালেও এতদিন বেতন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সমস্যা হয়নি। কিন্তু অভিযোগ, গত জুন মাসের প্রথমেই হিলি গভমেন্ট কলেজের অধ্যাপক কৌশিক মাঝি ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। আর তাতেই শুরু হয়েছে সমস্যা। কাজে যোগ দিয়েই বেতন সংক্রান্ত ফাইলে সই করছেন না বলে অভিযোগ। পাশাপাশি এই অতিথি অধ্যাপকদের নিয়োগ ও বৈধতার প্রশ্ন তুলে রাজ্য উচ্চশিক্ষা দফতরে তিনি চিঠিও দিয়েছেন। তারই প্রতিবাদে অধ্যাপকরা পরীক্ষার নম্বর আপলোড করেননি বলে শোনা যাচ্ছে। ফলে তৃতীয় ও চতুর্থ সেমিস্টারের প্রায় শতাধিক পড়ুয়াদের রেজাল্ট আটকে রয়েছে। এ বিষয়ে কৌশিক মাঝির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি।