দক্ষিণ দিনাজপুর: সাতসকালে পুকুর থেকে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) তপন (Tapan) ব্লকের হজরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মালঞ্চা দিঘিপাড়ায়। মৃতের নাম রতন শীল (৬০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রতনের বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার শিববাড়ি এলাকায়। মালঞ্চয় যে পুকুরে ব্যক্তির মৃতদেহ ভেসে উঠেছে, সেই পুকুরেই নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন ওই ব্যক্তি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল শনিবার বিকেল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই ব্যক্তি। পরিবারের তরফ থেকে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজ করা হয়। বিকালের পর থেকে আশেপাশের গ্রামগুলিতেও খোঁজ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা পুকুরে নেমেও খোঁজ করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে কোনও সূত্রই পাওয়া যাচ্ছিল না।
স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “আমরা জলে নেমেও অনেক খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু কোনওভাবেই খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আমরা তো জলেও কিছু দেখতে পেলাম না।” এরপর স্থানীয় থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়।
রবিবার সকাল সাতটা নাগাদ পুকুরে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর
ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তপন থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
কীভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল তা বোঝা যাচ্ছে না। দেহে সেভাবে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। ওই ব্যক্তি পুকুরে নেমেছিলেন নাকি তাঁকে খুন করে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে, তা এখন তদন্ত সাপেক্ষ। ওই ব্যক্তির সঙ্গে এলাকায় কারোর শত্রুতা ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “আমরা তো রোজই ওঁকে পুকুরে ধারেই চেয়ার নিয়ে বসে থাকতে দেখতাম। শনিবারও সকালে দেখি। তারপর হঠাত্ কী যে হল বুঝলাম না। প্রথমে দেখতে না পেয়ে ভেবেছিলাম হয়তো খেয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তারপর আর এখানে আসেননি। পরে শুনলাম নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। সবাই গ্রামে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পুকুরে নেমেও খোঁজা হয়েছিল। তখন পাওয়া যায়নি। আজ তো দেখলাম দেহ ভাসছে জলে।”
আরেক ব্যক্তি বলেন, “কীভাবে মৃত্যু হল বোঝা যাচ্ছে না। কোনও অশান্তিতে তো থাকতেন না। জলে কোনওভাবে নেমেছিলেন হয়তো, পা পিছনে পড়ে গিয়ে থাকতে পারেন। নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তাও বোঝা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত করছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।প্রতিবেশীদেরও জিজ্ঞাসা করছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, “পুকুর থেকে একটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। শনিবার মিসিং ডায়েরি করা হয়েছিল। এলাকার খোঁজ চালানো হচ্ছিল। সকালে এলাকাবাসীরাই পুকুরে দেহ ভাসতে দেখেন। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তারপরই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।”
আরও পড়ুন: পৌরসভায় গুপ্ত কক্ষ, ৬ফুটের আলমারি, জানেনই না পুরপ্রশাসক, শ্যাম-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য!