বালুরঘাট: যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। তারই প্রায়শ্চিত্ত করতে প্রায় মাস দুয়েক আগে দক্ষিণ দিনাজপুরের তপনের চার আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটিয়ে তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগদান করানোর ছবি সামনে আসে। যা নিয়ে তোলপাড় হয়ে যায় গোটা রাজ্য। দেখা গিয়েছিল মার্টিনা কিস্কু, শিউলি মার্ডি, ঠাকরণ সরেন ও মালতি মুর্মু নামে চার মহিলা বালুরঘাট (Balurghat) শহরের কোর্ট মোড় থেকে দণ্ডি কাটতে কাটতে তৃণমূলের জেলা কার্যালয়ে আসছেন। সূত্রের খবর, এ ঘটনার কিছুদিন আগেই তাঁরা যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে।
তাঁদের দণ্ডি কাটার ছবি ভাইরাল হতেই সরব হতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে উঠে আসে তৃণমূল নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর নাম। শনিবার জামিন পেলেন তিনি। জামিন দিলেন বালুরঘাট জেলা ও দায়রা আদালতের প্রথম কোর্টের বিচারক অলি বিশ্বাস। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ১ জুলাই।
প্রদীপ্তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৫ ও ৫০৯ ধারা ছাড়াও এসসি-এসটি প্রিভেনশন অব এট্রোসিটি অ্যাক্টেও মামলা দায়ের করে পুলিশ। এদিকে এ ঘটনায় আগেই আনন্দ রায় ও বিশ্বনাথ দাস নামে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করছিল পুলিশ। যদিও ইতিমধ্যেই তাঁরাও জামিনেও মুক্ত। দোষীদের চরম শাস্তির দাবি করছে বিজেপি। বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলছেন, “আদিবাসী মহিলাদের যেভাবে অপমান করা হয়েছে, তাতে প্রদীপ্তার চরম সাজা পাওয়া উচিত। দলদাস পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে জোরালো মামলা করেনি। সে কারণেই তিনি জামিন পেয়ে গেলেন।” যদিও তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বলছেন, “অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আমাদের দল যা ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই নিয়ে নিয়েছে। এখন বিষয়টি আদালতে আছে। তাই এ বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করব না।”