Water in Classroom: ক্লাসরুমের ভিতর হাঁটু জল! ঢুকে পড়েছিল আস্ত সাপও, ভয়ে কাঁপছে ক্ষুদে পড়ুয়ারা

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 17, 2022 | 8:13 AM

Water in Classroom: পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আসার কথা বললেও অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না, জানালেন শিক্ষক।

Water in Classroom: ক্লাসরুমের ভিতর হাঁটু জল! ঢুকে পড়েছিল আস্ত সাপও, ভয়ে কাঁপছে ক্ষুদে পড়ুয়ারা
ক্লাসরুমের ভিতর জল

Follow Us

বালুরঘাট : বৃষ্টি হলেই জল জমে যায় ক্লাসরুমের মধ্যে। এ যেন নিত্যদিনের সমস্যা। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। ক্লাসরুমের ভিতরে জমে গেল প্রায় হাঁটু জল। তারপরও পড়ুয়ারা স্কুলে আসছিল, কিন্তু যে ভাবে কক্ষের ভিতরে ঢুকে পড়ল সাপ, তারপর আর সন্তানদের স্কুলে পাঠানোর ঝুঁকি নিতে পারছেন না অভিভাবকেরা। তাঁদের অভিযোগ, বারবার একই ঘটনা ঘটা সত্ত্বেও প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না।

অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের শৌচাগার ও রান্নাঘরে জমা জলে মাঝে মধ্যেই বের হচ্ছে সাপ। বিষয়টি নজরে আসতেই স্কুলে পড়ুয়াদের পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন অভিভাবকরা। স্কুলে শিক্ষকেরা এলেও দেখা নেই কোনও পড়ুয়ার। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের মালঞ্চা এলাকার অমৃতখণ্ড কলোনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ৷

ওই প্রাথমিক স্কুলে মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১২ জন। শিক্ষক রয়েছেন ২ জন। তিনটি ঘরে চলে ক্লাস। রান্নাঘরে প্রায়ই জল জমে থাকায় একটি ক্লাসরুমে মিড ডে মিল রান্না করা হয়, আর একটি ঘরে চলে অফিস। আর একটি ঘর ও বারান্দায় চলে ক্লাস। অভিযোগ, অল্প বৃষ্টি হলেই জল জমে যায় স্কুলে। স্কুলের পাশেই রয়েছে একটি পুকুর। পুকুরের জল বেরনোর কোনও জায়গা নেই। যার ফলে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে হাঁটুজল জমে গিয়েছে স্কুলের ভিতরে। বৃষ্টি বন্ধ হওয়ায় জল কিছুটা হলেও কমেছে। এদিকে স্কুলে সাপ ঢুকে পড়ায়, সাপ ধরতে লোক ডেকে পাঠাতেও হয়েছিল।

স্কুল পড়ুয়া সুস্মিতা দাস বলে, জল জমে থাকায় স্কুলে আসতে ভয় লাগে। মাঝে মধ্যেই স্কুলের মধ্যে সাপ, পোকামাকড় বের হচ্ছে। তাই তারা স্কুলে আসা বন্ধ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা তথা অভিভাবক অনিতা দাস বলেন, স্কুলে পড়াশোনার কোনও পরিকাঠামোই নেই। একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে যায় ঘরগুলিতে। আবার সাপও ঢুকে যাচ্ছে। আতঙ্কে শিশুদের স্কুলে পাঠানো হচ্ছে না। স্কুল ভবন ঠিক করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তা না হলে জমা জলে সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন না।

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক রিপন সরকার স্কুলের পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ‘পড়ুয়ারা আসছে না। পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে আসার কথা বললেও অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। স্কুল পরিদর্শক ও পরিচালন কমিটির সঙ্গে কথা বলে যত দ্রুত সম্ভব সব দিক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।’ অন্যদিকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ডিপিএসসির চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা।

Next Article