Drinking Water: একটু পানীয় জলেরই তো দাবি, তাও মেটানো গেল না এতগুলো বছরে?

Dakkhin Dinajpur: তপন ব্লকের একাধিক গ্রামে এই জলের কষ্ট আজকের না। ২০১৬ সালে সরকার জলপ্রকল্পও নেয়। তবে ২০২৩ অবধি তা আর শেষ হয়নি। এখন প্রশাসন বলছে, ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হবে।

Drinking Water: একটু পানীয় জলেরই তো দাবি, তাও মেটানো গেল না এতগুলো বছরে?
পানীয় জলের সমস্যা তপনে। চলছে প্রকল্পের কাজ।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 27, 2023 | 9:00 AM

তপন: তপন আর জলকষ্ট যেন সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ দিনাজপুর (South Dinajpur) জেলার এই এলাকায় প্রায় বছরভরই জলের সমস্যা। বর্ষা বাদ দিলে বছরের বাকি সময়টা নিদারুণ জলকষ্টে কাটাতে হয় সাধারণ মানুষকে। প্রখর গ্রীষ্মে তো কথাই নেই। পানীয় জলের জন্য হাহাকার পড়ে যায় তপনজুড়ে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তপনবাসীর মূল ও প্রধান দাবি সারা বছর পানীয় জল। যদিও জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে সমস্ত কাজ। তবে এলাকার লোকজনের বক্তব্য, না আচালে কোনও কিছুতেই ভরসা নেই তাঁদের। এ নিয়ে একাধিকবার পথঅবরোধও হয়েছে। এরপরই এসেছে আশ্বাস। তবে কাজ হয়নি।

তপনের জল সমস্যা মেটাতে রাজ্য সরকার ২০১৬ সালে ব্লকে একটি বড় জলপ্রকল্পের উদ্বোধন করে। ঠিক হয়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে তপন ব্লকের বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়া হবে। তবে প্রকল্প পথ চলার শুরুর আগেই মুখ থুবড়ে পড়ে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। ২০১৬ থেকে ২০২৩। এতগুলো বছর মাঝে। পরিষেবা এখনও বিশ বাঁও জলে। তপন ব্লকের সুতইলে জলের প্রকল্পের কাজ চলছে। কাজ শুরুতে একাধিক সমস্যা দেখা যায়। যার ফলে দীর্ঘদিন এই জল প্রকল্পের কাজ বন্ধও ছিল। এমনকী জমিজটের জন্য রাস্তার সমস্যা ছিল। যদিও সেই সব মিটেছে এখন। কাজও কিছুটা গতি পেয়েছে। তবে প্রকল্প শেষ হয়ে পরিষেবা কবে চালু হবে, এখন সেটাই প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত, জল সমস্যা তপন ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার। এখানে টিউবওয়েলেও জল ওঠে না। মার্শাল দিয়েই জল তুলতে হয়। তবে তার খরচ অনেক। ফলে সকলের বাড়িতে তা নেই। কোথাও সরকারি পিএইচই, আবার কোথাও অন্যের মার্শাল বা পুকুরের জলের উপর নির্ভর করতে হয় এখানকার মানুষকে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আবারও পানীয় জলের দাবিতে সরব তাঁরা।

তৃণমূলের অবশ্য দাবি, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই এই কাজ শেষ হবে। জল পাবে গোটা তপনবাসী। যার কাজ খুব দ্রুত চলছে। পাইপ লাইন বসানোর কাজ চলছে। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকির ইঙ্গিত, যত তাড়াতাড়ি এই কাজ শেষ করা যায়, সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন।

যদিও সবটাই রাজনৈতিক চমক বলে দাবি বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকারের। তিনি বলেন, কম ভোট গেল না। তপনের লোকের জল সমস্যা মেটেনি। ক্ষমতায় বিজেপি এলেই এই সমস্যা মেটানো সম্ভব। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন ঘর ঘর নল, ঘর ঘর জল। এই প্রকল্পে শুধু তপন নয় সারা জেলার মানুষ বাড়িতে বসেই পানীয় জল পাবেন।

জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলছেন, “সুতইলে জলের প্ল্যান্টের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে এই কাজ সম্পন্ন হবে। এর পাশাপাশি কুমারগঞ্জেও নতুন জল প্ল্যান্ট বসতে চলছে। কুমারগঞ্জের সমজিয়াতে সেই কাজ হবে।”