বালুরঘাট: লাগাতার বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা গোটা উত্তরবঙ্গের (North Bengal)। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে একাধিক নদীর জল। বানভাসি হওয়ার জোগাড় একাধিক জেলার। এমতাবস্থায় এবার বালুরঘাটের (Balurghat) আত্রেয়ী নদীর জল বেড়ে জলমগ্ন হয়ে পড়ল বালুরঘাট পুরসভার আত্রেয়ী কলোনি। পাশাপাশি আত্রেয়ী নদী বাঁধের বেশ কিছুটা অংশে ফাটলও ধরেছে। ইঁদুরের গর্ত থেকেই ফাটল দেখা দিয়েছে৷ গত কয়েকদিন থেকেই জল বাড়ছিল আত্রেয়ী নদীর। বৃহস্পতিবার রাত একবারে অনেকটা জল বাড়ে যাওয়ায় জল ঢুকে পড়ে আত্রেয়ী কলোনির একাধিক বাড়িতে। আতঙ্কে রয়েছেন আত্রেয়ী কলোনি এলাকার শতাধিক পরিবার। একপ্রকার বাধ্য হয়েই গতকাল রাতেই শহরের মনিমেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয় বেশ কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা।
নদীর জল আরও বেড়ে গেলে গোটা আত্রেয়ী কলোনিতে জল ঢুকে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষয়টি জানতে পেরেই শুক্রবার দুপুরে মনিমেলা স্কুলে যান বালুরঘাট পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ্তা চক্রবর্তী, বালুরঘাট থানার আইসি সহ স্থানীয় কাউন্সিলর ও অন্যান্যরা। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের হাতে শুকনো খাবার তুলে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বালুরঘাটের আত্রেয়ী নদীর বিভিন্ন বাঁধ পরিদর্শন করেন পুরসভা ভাইস চেয়ারম্যান, বালুরঘাট থানার আইসি সহ পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে বালির বস্তা ফেলে বাঁধ মেরামতির চেষ্টা করা হচ্ছে।
সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই আত্রেয়ীর জলস্তর প্রাক বিপদ সীমাকে কার্যত ছুঁয়ে ফেলেছে। শুক্রবার সকালে আত্রেয়ীর জলস্তর ২২.২৪ মিটার ছিল। ২২.৫৫ মিটার হলেই প্রাক বিপদসীমা লঙ্ঘন করবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, গঙ্গারামপুরের পূনর্ভবা নদীর জলস্তরও বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের আত্রেয়ী কলোনীর বহু পরিবার শহরের ফ্লাড শেল্টারে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে সে উত্তর নেই কারও কাছে। আর তাতেই আরও বাড়ছে উদ্বেগ। তবে এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারপার্সন প্রদীপ্তা চক্রবর্তী বলেন, “নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় বালুরঘাট শহরের বেশ কিছু ওয়ার্ডে জল ঢুকে পড়েছে। যার ফলে অনেক পরিবার ফ্লাড শেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে থাকা ও খাওয়ার সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকি ফ্লাড শেল্টারগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে। সমগ্র পরিস্থিতির উপরেই নজর রাখছে পৌরসভা।”