Domestic Violence: ‘আমার সামনেই দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল ওরা’, ভূগোলের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ অধ্যাপিকা স্ত্রীর

Domestic Violence: বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রায়গঞ্জ থেকে অধ্যাপককে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্ত্রীর অভিযোগ, যখন তখন মারধর করা হত তাঁকে।

Domestic Violence: 'আমার সামনেই দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল ওরা', ভূগোলের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ অধ্যাপিকা স্ত্রীর
২০১৯ সালে বিয়ে হয় তাপস-ময়ূরাক্ষীর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 24, 2022 | 3:24 PM

বালুরঘাট: দুজনেই একই কলেজের অধ্যাপক। তাপস পাল ও ময়ূরিকা রায়ের বিয়ে হয় বছর তিনেক আগে। সম্প্রতি স্বামীর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বালুরঘাটের সেই অধ্যাপিকা। খুনের চেষ্টা, বিশ্বাসভঙ্গ সহ একাধিক অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ভূগোলের অধ্যাপক তাপস পালকে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রায়গঞ্জ থেকে অধ্যাপককে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্ত্রীর অভিযোগ, যখন তখন মারধর করা হত তাঁকে। শুধু তাই নয়, এক ছাত্রীর সঙ্গে অধ্যাপকের সম্পর্ক থাকার অভিযোগও এনেছেন ময়ূরিকা। তাঁর দাবি, কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও জানেন অধ্যাপকের চরিত্রের কথা। নম্বর বেশি পাওয়ার লোভ দেখিয়ে পড়ুয়াদের চাকরের মতো খাটানো হত বলেও মন্তব্য করেছেন ময়ূরিকা।

রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের অধ্যাপক তাপস পাল। তাঁর বিরুদ্ধে ৪৯৮ ও ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ধৃত অধ্যাপকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্ত্রী ময়ূরিকা রায়। ওই বিশ্ববিদ্যালয়েই আইনের অধ্যাপিকা ময়ূরিকা।

২০১৯ সালে তাঁদের বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকেই ময়ূরিকার ওপর নানাভাবে অত্যাচার চালাতেন তাপস পাল। বিয়ের পর সেই অত্যাচারের পরিমান বেড়ে যায়। শ্বশুরবাড়ি থেকে তাপস টাকা নিতেন বলেও অভিযোগ স্ত্রীর। টাকা না পেলেই নাকি স্ত্রীর ওপর অত্যাচার বেড়ে যেত।

অভিযোগ, বিয়ের আগে থেকেই অধ্যাপকের এক ছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। বিয়ের রাত থেকেই নাকি শুরু হয় অত্যাচার। পরবর্তীতে স্বামীর প্রেমিকার বিষয়ে জানতে পারায়, শুরু হয় মারধরও। এমনকী স্ত্রীর সামনে প্রেমিকাকে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করেছেন অধ্যাপিকা। তাঁর দাবি, বাড়ি ফিরতে দেরি হয়েছে কেন, জানতে চাইলেই জুটত মারধর।

গত বুধবার বালুরঘাট থানায় স্বামীর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রী ময়ূরিকা রায়। তিনি জানান, বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান তিনি, পরিবারের সদস্যরা কষ্ট পাবেন ভেবে এতদিন ধরে স্বামীর অত্যাচারের কথা বলতে পারতেন না। সেই অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ।

ধৃত অধ্যাপক তাপস পালের দাবি, স্ত্রীর আনা অভিযোগ কতটা সত্যি, তা জানতেই নাকি আদালতে এসেছেন তিনি।