Teesta river erosion: তিস্তায় প্রবল ভাঙন, ঘরছাড়া ৮০টি পরিবার, বিপন্ন সেবকের কাছে লালটঙ, চমকডাঙি
Teesta river erosion: গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেচ দফতরকে ভাঙন শুরু হওয়ার আগেই বিষয়টি জানিয়ে এসেছেন তাঁরা। সেচ দফতর থেকে পরিদর্শনও করে গিয়েছিলেন আধিকারিকরা।কিন্তু সময় মতো কাজ শুরু না করায় ভাঙনের মুখে পড়তে হল বাসিন্দাদের।
শিলিগুড়ি: তিস্তার ভাঙনে ঘড় ছাড়া হল ৮০টি পরিবার। বর্তমানে তাদের স্থায়ী ঠিকানা কমিউনিটি হল। বিগত কয়েকদিন ধরে পাহাড় ও সমতলে লাগাতার বৃষ্টিপাতের ফলে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে সমস্ত নদী গুলিতেই। ফলে ভাঙনও শুরু হয়েছে। শিলিগুড়ির অদূরে চমক ডাঙ্গী গ্রাম সংলগ্ন এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা। গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তা গত কয়েকদিন আগেই তিস্তা নদীর গ্রাসে চলে গিয়েছে। ধীরে ধীরে সেই ভাঙন এখন গ্রাস করতে চলেছে গোটা গ্রামকেই।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেচ দফতরকে ভাঙন শুরু হওয়ার আগেই বিষয়টি জানিয়ে এসেছেন তাঁরা। সেচ দফতর থেকে পরিদর্শনও করে গিয়েছিলেন আধিকারিকরা।কিন্তু সময় মতো কাজ শুরু না করায় ভাঙনের মুখে পড়তে হল বাসিন্দাদের। ফলে ঘড় ছাড়া হতে হল তাদের।
বুধবার রাতে ভাঙন বেড়ে যাওয়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক দেখা যায়। শেষ সম্বল বাঁচাতে নিজেরাই তাদের ঘড়বাড়ি ভেঙে প্রয়োজনীয় জিনিসত্র নিয়ে যাচ্ছেন নিরাপদ স্থানে। বাড়ির বয়স্ক ও বাচ্চাদের জায়গা হয়েছে কমিউনিটি হলে। তাদের দাবি, ভাঙন যে ভাবে বাড়ছে তাতে এদিন রাতের মধ্যে পুরো গ্রামটিই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
ইতিমধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে গ্রামটিতে। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের ভক্তিনগর থানা থেকে খাবার ও ত্রিপলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেচ দফতরের লোকেরাও কাজ শুরু করেছেন। কিন্তু ভাঙন ঠেকাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরাও। গ্রামবাসীরা একযোগে বলছেন, সঠিক সময়ে কাজ শুরু করলে আজ তাদের এই দুরবস্থার মধ্যে পড়তে হত না।