Raju Bista: তৃণমূল কি বড়দের সম্মান করতে ভুলে গেল? ঘাসফুলকে খোঁচা রাজু বিস্তার
Raju Bista: বিবৃতি প্রকাশ করে রাজু বিস্তার পাল্টা বক্তব্য়, "তৃণমূল মনে হয় বড়দের সম্মান করা এবং উৎসবের সময়ে তাঁদের আশীর্বাদ নেওয়ার রীতি ভুলে গিয়েছে।"
শিলিগুড়ি: বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যর (Ashok Bhattacharya) সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা (Raju Bista)। সঙ্গে ছিলেন, অশোক বাবুর এককালীন ‘রাজনৈতিক শিষ্য’ তথা বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও। আর এই নিয়েই জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের মুখপত্র জাগো বাংলায় এই নিয়ে ‘সরকার ফেলে দেব সঙ্গে থাকুন’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’-এর আড়ালে ‘চক্রান্তের’ ইঙ্গিত দেখছে তৃণমূল। এবার এই নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি সাংসদ তথা পদ্ম শিবিরের জাতীয় মুখপাত্র রাজু বিস্তা। এক বিবৃতি প্রকাশ করে তাঁর পাল্টা বক্তব্য়, “তৃণমূল মনে হয় বড়দের সম্মান করা এবং উৎসবের সময়ে তাঁদের আশীর্বাদ নেওয়ার রীতি ভুলে গিয়েছে।”
মঙ্গলবার ওই বিবৃতিতে রাজু বিস্তা লিখেছেন, তৃণমূলের মধ্যে সাধারণ সৌজন্যবোধ ও নূনতম শালীনতা এতটাই বিরল হয়ে গিয়েছে, যে অশোক ভট্টচার্যের সঙ্গে আমার দেখা করা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। আমি তাঁকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলাম। তৃণমূল তাদের মুখপত্রে এটিকে ‘নতুন চক্রান্ত’ হিসেবে দেখছে। এটি তৃণমূলের ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতিকেই দেখায়। তৃণমূল হয়ত ভুলে গিয়েছে যে, বড়দের সম্মান করা এবং উৎসবের সময় তাঁদের আশীর্বাদ চাওয়া আমাদের সমাজ এবং সংস্কৃতির মধ্যে রয়েছে।”
এর পাশাপাশি তৃণমূলের একাধিক নেতা যে বর্তমানে গারদের ওপারে রয়েছেন, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন রাজু বিস্তা। তিনি ওই বিবৃতিতে লিখেছেন, “যখন গোটা দেশ দীপাবলি ও কালীপুজো পালন করছে, তখন অনেক তৃণমূল নেতা তাঁদের উৎসবের মরশুম জেলে কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। আরও অনেকেরই হয়ত সেই পরিণতি হবে।”
দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদের বক্তব্য, তৃণমূল নেতাদের একমাত্র উদ্দেশ্য মনে হয় ক্ষমতায় থাকা এবং জনসাধারণের তহবিল লুঠ করা। তাঁরা আজ নিজেদের ছায়াকেও ভয় পাচ্ছেন। এমনকী তাঁরা এও জানেন, তাদের দুর্নীতি ও হিংসার শাসন এবার শেষ হতে চলেছে। জনসাধারণের টাকা লুঠ এবং নিরপরাধ মানুষদের হত্যার উপর তৈরি তাসের ঘর ভেঙে চুরমার হতে চলেছে। সেই কারণে তাঁরা সবকিছুকে রাজনীতির রঙ মিশিয়ে দিতে মরিয়া।” সঙ্গে তৃণমূল শিবিরকে খোঁচা দিয়ে সাংসদের আরও সংযোজন, “সবকিছুতে রাজনীতি না দেখে, কেন এমন শুভ উৎসবের সময়ও কেউ তাঁদের নেতাদের ডাকেননি, সেই নিয়ে আত্মবিশ্লেষণ করতে শেখা উচিত।”