দার্জিলিং: দার্জিলিং পৌরসভার চেয়ারম্যান রিতেশ পোর্টেলের অপসারণ চেয়ে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল ভারতীয় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা বিজিপিএম-এর অনিত থাপা। হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের সিঙ্গল বেঞ্চ আগেই তাতে অনুমতি দিয়েছিল। এবার রিতেশ পোর্টেলকে পুরসভা থেকে সরানোর প্রস্তাব বৈধ বলে জানিয়ে দিল সার্কিট বেঞ্চের মৌসুমী ভট্টাচার্য ও সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরির ডিভিশন বেঞ্চ।
হামরো পার্টির আর্জি খারিজ করে দিল ডিভিশন বেঞ্চ। দার্জিলিং পুরসভায় অনাস্থা বহাল রইল।
দার্জিলিং পুরসভায় নির্বাচনে ক্ষমতায় এসেছিল হামরো পার্টির অজয় এডওয়ার্ডের দল। চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন রিতেশ পোর্টেল। তিন মাসের মধ্যে ৩২ টি আসনের মধ্যে ১৮টি পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দার্জিলিং পৌরসভার দখল নেয় হামরো পার্টি। জিটিএ নির্বাচনে অনীত থাপার দল জয়ী হওয়ার পর থেকেই পাহাড়ের সমীকরণ বদলাতে শুরু করে।
হামরো পার্টির ৬ জন কাউন্সিলর ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার যোগ দেন। এরপর হামরো পার্টির কয়েকজন কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরদের সমর্থন নিয়ে অনাস্থা আনে বিজিপিএম। দার্জিলিং পুরসভায় হামরো পার্টির চেয়ারম্যান রিতেশ পোর্টেলের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে সরিয়ে দেয় অনীত থাপার প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা৷ অনাস্থার আগে হামরো পার্টির কয়েকজন কাউন্সিলর অনীতের দলে যোগদান করেছিলেন। অনাস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রথমে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন রিতেশ। আগেই হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ হামরো পার্টির আবেদন খারিজ করে দেয়। দার্জিলিং পৌরসভার ভোটাভুটিতে অনীত থাপা ক্ষমতায় আসেন। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিটের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেন রিতেশ। এদিন মামলার শুনানি হয়েছিল মঙ্গলবার। বুধবার রায় দিতে গিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের রায় যথাযথ ছিল। ডিভিশন বেঞ্চেও রিতেশের আবেদন খারিজ হয়ে যায়।