Jagdeep Dhankhar : ধনখড়ের উত্তরণের চিত্রনাট্য রচনা কি দার্জিলিঙে?
Jagdeep Dhankhar : দার্জিলিঙের রাজভবনে প্রায় আড়াই ঘণ্টা দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয় জগদীপ ধনখড়ের। প্রশ্ন উঠছে, দার্জিলিঙের ওই বৈঠকেই কি ধনখড়ের উত্তরণের চিত্রনাট্য রচনা হয়েছিল?
দার্জিলিং : নয়াদিল্লিতে নাকি দার্জিলিঙে? উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনডিএ প্রার্থী হিসেবে জগদীপ ধনখড়ের নাম শনিবার ঘোষণা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। দেশের রাজধানীতে বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক শেষে এই ঘোষণা করেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের উত্তরণের চিত্রনাট্য কি দার্জিলিঙেই রচিত হয়েছিল? দিল্লিতে বিজেপির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক শেষে কি আনুষ্ঠানিক ভাবে তা ঘোষণা করেছেন নাড্ডা?
ধনখড়ের উত্তরণে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা ভূমিকা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। মহারাষ্ট্রে শিবসেনায় ফাটল ধরার পর সদলবলে গুজরাট থেকে অসমে পৌঁছে গিয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। দীর্ঘ রাজনৈতিক চাপান-উতরের পর একনাথ শিন্ডে এখন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এনডিএ-র উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী হওয়ার পর অসমের মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা জল্পনা বাড়ার কারণ গত ১৩ জুলাইয়ের একটি বৈঠক। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল দার্জিলিঙের রাজভবনে আসার পর তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ধনকড় ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দার্জিলিঙের রাজভবনে প্রায় আড়াই ঘণ্টা দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয় ধনখড়ের। প্রশ্ন উঠছে, দার্জিলিঙের ওই বৈঠকেই কি ধনখড়ের উত্তরণের চিত্রনাট্য রচনা হয়েছিল?
রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, তৃণমূল চেয়েছিল রাজ্যপাল বদল হোক। সেক্ষেত্রে ধনকড় উপরাষ্ট্রপতি হলে স্বাভাবিক ভাবে নতুন রাজ্যপাল আসবেন রাজ্যে। প্রশ্ন উঠছে, সে কথাই কি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মমতার সাহায্য চেয়েছেন হেমন্ত বিশ্বশর্মা? যাঁরা বৈঠকে ছিলেন, তাঁরা মুখে কুলুপ আঁটলেও জল্পনা চলছে।
শিলিগুড়িতে বাম নেতা পার্থ মৈত্রের দাবি, “সবটাই সেটিং। জলের মতোই পরিষ্কার। হেমন্ত ও ধনখড় এলেন। মমতা রাজভবনে গিয়ে আড়াই ঘণ্টা রইলেন কোন সমীকরণে? বিজেপি হেমন্তকে পাঠিয়েছিল ধনকড়ের চূড়ান্ত সম্মতি আদায়ে এবং মমতার সঙ্গেও আলাচনা করতে। তখন তাঁরা কিছুই বলেননি। এবার আনুষ্ঠানিক ভাবে নাম প্রকাশ করল বিজেপি। মমতাও চেয়েছিলেন রাজ্যপাল বদল হোক। ফলে দুইয়ে দুইয়ে চার হল।”
বিজেপি নেতা রথীন্দ্র বসুর বক্তব্য, “রাজনীতিতে সবই সম্ভব। তিন নেতা এক টেবিলে নানা বিষয়ে কথা হয়। কী কথা হয়েছে তা তাঁরাই বলতে পারবেন।” দার্জিলিঙের রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যাওয়া নিয়ে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বেদব্রত দত্তের বক্তব্য, “সবটাই সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। অন্য কিছুই নয়।”
দাবি-পালটা দাবির মধ্যেও জল্পনা থামছে না। এদিকে, আজ বিরোধীরা উপরাষ্ট্রপতি পদে তাঁদের প্রার্থী দিয়েছে। রবিবার এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের বাসভবনে বৈঠকে বসেছিলেন ১৭টি বিরোধী দলের নেতারা। কিন্তু, এই বৈঠকে ছিলেন না তৃণমূল কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির কোনও প্রতিনিধি। বৈঠক শেষে মার্গারেট আলভার নাম উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন পওয়ার। ওই বৈঠকে তৃণমূলের অনুপস্থিতির পর জল্পনা আরও বাড়ছে।