NBSTC Bus Service: নেপালের অশান্তির আঁচ পড়ল বাংলাতেও, নেওয়া হল বড় সিদ্ধান্ত
Siliguri: এ দিকে, নেপালের অশান্তির জেরে ভারত-নেপাল সীমান্তে কড়া সতর্কতা জারি করেছে SSB বা সশস্ত্র সীমা বল। নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতা সীমান্ত পেরিয়ে যাতে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে, সেই কারণে সীমান্তে টহলদারি বাড়িয়েছে এসএসবি।

শিলিগুড়ি: সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতিবাদে জ্বলছে নেপাল। রাজধানী কাঠমান্ডু ছাড়াও নেপালের বিভিন্ন অংশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত সেই সে দেশে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এবার নেপালের আঁচ পড়ল বাংলায়ও। পড়শি দেশের অশান্তির জেরে ভারত-নেপাল বাস চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভারতের একেবারেই গা ঘেঁষে রয়েছে ছোট্ট দেশ নেপাল। সোমবার থেকে সেখানে শুরু হয় অশান্তি। বর্তমান পরিস্থিতি খুবই উত্তপ্ত। জ্বলেছে কোর্ট, জ্বলছে রাস্তাঘাট, এক কথায় বলা যায় সেখানে তাণ্ডব চালাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। কানঘুষো শোনা যাচ্ছে, সে দেশের প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির আঁচ ধীরে-ধীরে পড়েছে ভারতেও।
শিলিগুড়ি থেকে কাঠমান্ডু পর্যন্ত NBSTC-র বাস চলাচল করত। সেই বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। এখান থেকে প্রতিদিন প্রতি সংখ্যক মানুষ যেমন নেপাল যান, তেমনই সেখান থেকে প্রচুর সংখ্যক মানুষ ভারতে প্রবেশ করেন। এই বাসগুলি ছিল যোগাযোগের ক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা। তবে শুধু শিলিগুড়ি নয়, কলকাতাতেও প্রচুর মানুষ আটকে রয়েছেন কলকাতায়। চিন্তায় ঘুম উড়ছে তাঁদের। কেউ-কেউ আবার যোগাযোগ করতে পারছেন না পরিবারের সঙ্গে। ফলে চরম আতঙ্কে তাঁরা।
এ দিকে, নেপালের অশান্তির জেরে ভারত-নেপাল সীমান্তে কড়া সতর্কতা জারি করেছে SSB বা সশস্ত্র সীমা বল। নেপালের রাজনৈতিক অস্থিরতা সীমান্ত পেরিয়ে যাতে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে, সেই কারণে সীমান্তে টহলদারি বাড়িয়েছে এসএসবি। একই সঙ্গে নেপালের এই পরিস্থিতির সরাসরি প্রভাব পড়েছে দুই দেশের বাণিজ্যের উপরও। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েছেন।
