Abhijit Gangopadhyay: ‘তৃণমূলকে একটা ভোটও নয়’, বিজেপির মঞ্চে প্রথম ভাষণে বললেন অভিজিৎ

Mar 09, 2024 | 4:10 PM

Abhijit Gangopadhyay: এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুরুতেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি সদ্য বিজেপিতে একজন কর্মী হিসাবে যোগ দিয়েছি। কিছু কথা আমার বলার আছে সেই প্রসঙ্গে। এক রাজ্যে বাস করি যে রাজ্যে ক্ষমতায় আছে একটা দল যাদের নাম আমি মুখেও আনতে চাই না।”

Follow Us

শিলিগুড়ি: ১০ দিনে চারবার বাংলায় এলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সভা করেছেন আরামবাগ, কৃষ্ণনগর, বারাসাতে। শনিবার সভা হচ্ছে শিলিগুড়িতে। এদিকে বাংলার রাজ্য-রাজনীতে ঝড় তুলে ইতিমধ্য়েই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই অভিজিৎই এবার প্রথম বক্তব্য রাখলেন মোদীর সভায়। শুরুতেই থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে শানালেন অল আউট অ্যাটাক। সাফ বললেন, ‘তৃণমূলকে একটা ভোটও নয়’। ছাব্বিশের লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে বিদায় দিতে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরুর প্রয়োজন রয়েছে বলেও মত অভিজিতের। 

এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুরুতেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি সদ্য বিজেপিতে একজন কর্মী হিসাবে যোগ দিয়েছি। কিছু কথা আমার বলার আছে সেই প্রসঙ্গে। এক রাজ্যে বাস করি যে রাজ্যে ক্ষমতায় আছে একটা দল যাদের নাম আমি মুখেও আনতে চাই না। কারণ এই দলটি সম্পূর্ণ দুর্বৃত্ত দ্বারা গঠিত। আমি যখন বিভিন্ন মামলা শুনছিলাম বিচারপতি হিসাবে তখন আমার চোখে ধরা পড়েছিল সে কী ভয়ানক দুর্নীতি। যা ধরিয়ে না দিলে বুঝতে পারবেন না।” শিক্ষা থেকে খাদ্য দুর্নীতি নিয়েও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, “আজও বহু চাকরিপ্রার্থী যাঁরা অনেক বেশি নম্বর অর্জন করেছেন তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছে যাঁরা অনেক কম নম্বর পেয়ে বেশ কিছু টাকা দিয়ে চাকরিটা কিনেছেন তাঁদের। ফলে এই যে দুর্বৃত্তরা নিজেদের পকেটে টাকা ঢুকিয়েছে, নিজেদের দৌরাত্ম্যে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থাকে শেষ করে দেওয়ার রাস্তায় হেঁটেছেন। তারপরে আসে খাদ্য দুর্নীতি।”  

আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে তিনি বলেন, “আমাদের তিনটি প্রধান চাহিদা থাকে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান। খাদ্য দুর্নীতিতে তাঁদের খাদ্য মন্ত্রী জেলে আছেন। তিনি তাঁর বাড়িতে আর থাকতে পারেন না। শিক্ষা দুর্নীতিতে শিক্ষামন্ত্রী জেলে আছেন। বাড়িতে নেই। আর বাসস্থানের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা চুরি করা হয়েছে। কাউকে যদি ৫০ হাজার চটাকা দেওয়া হয়ে থাকে তার থেকে সঙ্গে সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই দুবৃত্তদের আপনারা চোখের সামনে দেখেছেন। সামনেপ নির্বাচনে এই দুষ্কৃতিদের একটা শিক্ষা দিতে হবে। সেই শিক্ষা তাঁদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে উৎখাতের শিক্ষা। বাংলার ক্ষমতায় আসীন দুর্বৃত্তদলটিকে বুঝিয়ে দিতে হবে তোমাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তোমরা যে পরিমাণ জালিয়াতি করেছ তার মূল্য তোমাদের চোকাতেই হবে। ৪২ টা লোকসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেসকে একটা ভোটও দেবেন না।”

সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, “আজকে এখানে শপথ নিয়ে যান। তৃণমূলকে একটা ভোটও নয়। আমাদের ৪২ এর মধ্যে ৪২ আসনই দখল করতে হবে। যাতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওরা মুছে যায়। তৃণমূল থেকে বহু নেতা চলে যাচ্ছেন। দু-একজন ভাল নেতা থেকে থাকলে তাঁরাও বেরিয়ে যাচ্ছেন। দলে আর থাকা যাচ্ছে না।” এলাকায় তৃণমূল বিরোধী প্রচারে জোর দেওয়ার কথাও শোনা গেল অভিজিতের গলায়। বলেন, “শপথ নিন। এলাকায় প্রচার করুন। তৃণমূলকে একটাও ভোট নয়। ওরা নারী নির্যাতন করে। সন্দেশখালির ঘটনা তো জানেন। ওদের একটা ভোটও নয়। এই শপথ আমাদের নিতেই হবে। যাতে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাদের বিদায়ের পথটা দেখিয়ে দেওয়া যায়। তাই এই লোকসভা নির্বাচন থেকে তাঁর উদ্যোগ নিতে হবে।”  

শিলিগুড়ি: ১০ দিনে চারবার বাংলায় এলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সভা করেছেন আরামবাগ, কৃষ্ণনগর, বারাসাতে। শনিবার সভা হচ্ছে শিলিগুড়িতে। এদিকে বাংলার রাজ্য-রাজনীতে ঝড় তুলে ইতিমধ্য়েই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই অভিজিৎই এবার প্রথম বক্তব্য রাখলেন মোদীর সভায়। শুরুতেই থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে শানালেন অল আউট অ্যাটাক। সাফ বললেন, ‘তৃণমূলকে একটা ভোটও নয়’। ছাব্বিশের লোকসভা ভোটে তৃণমূলকে বিদায় দিতে এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরুর প্রয়োজন রয়েছে বলেও মত অভিজিতের। 

এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুরুতেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমি সদ্য বিজেপিতে একজন কর্মী হিসাবে যোগ দিয়েছি। কিছু কথা আমার বলার আছে সেই প্রসঙ্গে। এক রাজ্যে বাস করি যে রাজ্যে ক্ষমতায় আছে একটা দল যাদের নাম আমি মুখেও আনতে চাই না। কারণ এই দলটি সম্পূর্ণ দুর্বৃত্ত দ্বারা গঠিত। আমি যখন বিভিন্ন মামলা শুনছিলাম বিচারপতি হিসাবে তখন আমার চোখে ধরা পড়েছিল সে কী ভয়ানক দুর্নীতি। যা ধরিয়ে না দিলে বুঝতে পারবেন না।” শিক্ষা থেকে খাদ্য দুর্নীতি নিয়েও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, “আজও বহু চাকরিপ্রার্থী যাঁরা অনেক বেশি নম্বর অর্জন করেছেন তাঁদের চাকরি দেওয়া হয়নি। দেওয়া হয়েছে যাঁরা অনেক কম নম্বর পেয়ে বেশ কিছু টাকা দিয়ে চাকরিটা কিনেছেন তাঁদের। ফলে এই যে দুর্বৃত্তরা নিজেদের পকেটে টাকা ঢুকিয়েছে, নিজেদের দৌরাত্ম্যে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থাকে শেষ করে দেওয়ার রাস্তায় হেঁটেছেন। তারপরে আসে খাদ্য দুর্নীতি।”  

আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে তিনি বলেন, “আমাদের তিনটি প্রধান চাহিদা থাকে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান। খাদ্য দুর্নীতিতে তাঁদের খাদ্য মন্ত্রী জেলে আছেন। তিনি তাঁর বাড়িতে আর থাকতে পারেন না। শিক্ষা দুর্নীতিতে শিক্ষামন্ত্রী জেলে আছেন। বাড়িতে নেই। আর বাসস্থানের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা চুরি করা হয়েছে। কাউকে যদি ৫০ হাজার চটাকা দেওয়া হয়ে থাকে তার থেকে সঙ্গে সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই দুবৃত্তদের আপনারা চোখের সামনে দেখেছেন। সামনেপ নির্বাচনে এই দুষ্কৃতিদের একটা শিক্ষা দিতে হবে। সেই শিক্ষা তাঁদের পশ্চিমবঙ্গ থেকে উৎখাতের শিক্ষা। বাংলার ক্ষমতায় আসীন দুর্বৃত্তদলটিকে বুঝিয়ে দিতে হবে তোমাদের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তোমরা যে পরিমাণ জালিয়াতি করেছ তার মূল্য তোমাদের চোকাতেই হবে। ৪২ টা লোকসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেসকে একটা ভোটও দেবেন না।”

সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, “আজকে এখানে শপথ নিয়ে যান। তৃণমূলকে একটা ভোটও নয়। আমাদের ৪২ এর মধ্যে ৪২ আসনই দখল করতে হবে। যাতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ওরা মুছে যায়। তৃণমূল থেকে বহু নেতা চলে যাচ্ছেন। দু-একজন ভাল নেতা থেকে থাকলে তাঁরাও বেরিয়ে যাচ্ছেন। দলে আর থাকা যাচ্ছে না।” এলাকায় তৃণমূল বিরোধী প্রচারে জোর দেওয়ার কথাও শোনা গেল অভিজিতের গলায়। বলেন, “শপথ নিন। এলাকায় প্রচার করুন। তৃণমূলকে একটাও ভোট নয়। ওরা নারী নির্যাতন করে। সন্দেশখালির ঘটনা তো জানেন। ওদের একটা ভোটও নয়। এই শপথ আমাদের নিতেই হবে। যাতে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তাদের বিদায়ের পথটা দেখিয়ে দেওয়া যায়। তাই এই লোকসভা নির্বাচন থেকে তাঁর উদ্যোগ নিতে হবে।”  

Next Article