KGF Gang: ‘KGF’ গ্যাং তো বড় খেলোয়াড়! থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরেও ‘রাজপাট’
Siliguri: রামকৃষ্ণ মিশনে বন্দুক নিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে জমি থেকে সন্ন্যাসীদের উচ্ছেদে অভিযুক্ত কেজিএফ গ্যাংয়ের নাম সামনে এল আরও একবার। এই গ্যাংয়ের এক সদস্যর সঙ্গে আবার প্রভাবশালী-যোগেরও অভিযোগ রয়েছে। মূলত ভাইরাল হওয়া একটি ছবিকে সামনে রেখে এই অভিযোগ।
শিলিগুড়ি: এখন মার্কেটে একটাই গ্যাং, ‘কেজিএফ’। দক্ষিণী সিনেমার অনুকরণে এই দুষ্কৃতী ‘সাপ্লায়ার’ গ্যাংয়ের নামকরণ। শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনায় প্রথম এই গ্যাংয়ের নাম শোনা গিয়েছিল। এবার তাদের বিরুদ্ধে আবারও জমি দখলের অভিযোগ। থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে জমি দখলে নাম জড়াল কেজিএফের। এই ঘটনায় সাহস করে এক ব্যক্তি থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন।
রামকৃষ্ণ মিশনে বন্দুক নিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে জমি থেকে সন্ন্যাসীদের উচ্ছেদে অভিযুক্ত কেজিএফ গ্যাংয়ের নাম সামনে এল আরও একবার। এই গ্যাংয়ের এক সদস্যর সঙ্গে আবার প্রভাবশালী-যোগেরও অভিযোগ রয়েছে। মূলত ভাইরাল হওয়া একটি ছবিকে সামনে রেখে এই অভিযোগ।
রামকৃষ্ণ মিশনে হামলায় মূল অভিযুক্তরা এখনও অধরা হলেও আপাতত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সকলেই এই ‘কুখ্যাত’ গ্যাংয়ের সদস্য। এই ঘটনার পর এবার সুব্রত ছেত্রী নামে এক ব্যক্তি ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন কেজিএফ গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে।
সুব্রত ছেত্রীর দাবি, ভক্তিনগর থানা থেকে ২০০ মিটার দূরে কয়েক কাঠা জমি রয়েছে তাঁর। কিছুদিন আগেই সেই জমি দখলে নেয় কেজিএফ। ১০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দিলে সুব্রত জমির অধিকার ফিরে পাবেন না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।
জমি পেতে অনলাইনে কিছু টাকাও দেন সুব্রত। তবে পুরো টাকা না দেওয়ায় সেটেলমেন্ট হয়নি বলেই অভিযোগ। সুব্রতর দাবি, এ নিয়ে অভিযোগ করতে ভক্তিনগর থানায় গেলেও সাহস করে কিছু করে উঠতে পারেননি।
তবে রামকৃষ্ণ মিশনের ঘটনার পর শুভম মাহাতো-সহ কেজিএফের কয়েকজন গ্রেফতার হতেই জেলা তৃণমূলের নেতা ও আইনজীবী অত্রি শর্মাকে সব জানান তিনি। এরপর শুক্রবার সাহস করে ফের থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান তিনি। নির্দিষ্ট কারও নাম নয়, কেজিএফ গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান সুব্রত ছেত্রী।
ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির তৃণমূল নেতা গৌতম গোস্বামী স্বীকার করে নেন, প্রতিনিয়ত এলাকায় কেজিএফের অত্যাচার বাড়ছে। একাধিক অভিযোগ সামনে আসছে। কয়েকদিন আগে এক মহিলাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। ওই মহিলা আবার পঞ্চায়েত সদস্য।
গৌতম গোস্বামীর বক্তব্য, অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসহায় জমির মালিকরা ভয়ে থানায় যাচ্ছেন না। তবে তাঁর পরামর্শ, ভয় কাটিয়ে অভিযোগ জমা দিন। প্রয়োজনে শীর্ষ নেতাদের কাছে বিষয়টি জানান। পুলিশ ব্যবস্থা না নিলে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করুন। কেজিএফের অত্যাচার কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
আইনজীবি ও জেলা তৃণমূলের নেতা অত্রি শর্মাও খোলামেলা জানান, পুলিশ ও প্রভাবশালী যোগসাজশেই বাড়বাড়ন্ত কেজিএফের। সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। জমির বেআইনি কারবার চলছে রমরমিয়ে। ভক্তিনগর থানা, আশিঘড় আউটপোস্ট, নিউ জলপাইগুড়ি থানা এলাকায় কার মদতে এই গ্যাংয়ের এত দাপট, তা খতিয়ে দেখা হোক বলেও জানান তিনি।
কেজিএফ নিয়ে একের পর অভিযোগ যখন সামনে, শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, “কেজিএফ গ্যাং ভেঙে গুঁড়িয়ে দেব। অসহায় মানুষের জমি দখল করতে এলে সরকারের নীতি স্পষ্ট। গুন্ডামি বরদাস্ত নয়। আর এর সঙ্গে দল, রাজনীতি জুড়ে লাভ নেই। এদের একটাই পরিচয় এরা গুন্ডা, মস্তান।”