Siliguri Ramkrishna Mission: জমির মালিকানা মিশনেরই, তবুও কেন গ্রেফতার নয় প্রদীপকে? সাংবাদিক বৈঠকে ‘চুপ’ পুলিশ!
Siliguri Ramkrishna Mission: মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় একটি কেস করেছেন। সিভিল কেস। তিনি দাবি করেছেন, রামকৃষ্ণ মিশনের ওই জমিটার মালিক তিনি। উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি টুকা সিং নামে এক জনের কাছ থেকে পেয়েছিলেন।
শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় মিথ্যা দাবি করছেন। সাংবাদিক বৈঠক করে স্বীকার করে নিলেন DCP। এখনও পর্যন্ত বেপাত্তা প্রদীপ। তাঁর বিরুদ্ধে তবে কেন লঘু ধারা প্রয়োগ? কেনইবা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হল না? কেনইবা মিশনের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও থানায় আসার পরও প্রদীপকে গ্রেফতার করল না পুলিশ? উল্টে পুরনো নথি না ঘেঁটেই কেন মিশনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা? এ সব প্রশ্নের উত্তরে রীতিমতো চুপ থাকলেন পুলিশ কর্তা।
বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ কর্তা জানান, যে জমি নিয়ে এত বিতর্ক, যে জমি দখল করার অভিযোগ উঠছে মিশনের বিরুদ্ধে, যে জমির মালিক হিসাবে দাবি করছেন প্রদীপ রায়, তা সবই মিথ্যা। পুলিশ কর্তা স্পষ্ট জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, জমির মালিকানা রামকৃষ্ণ মিশনেরই।
পুলিশ কর্তা জানান, ১৯ মে মাঝ রাত, তিনটে সাড়ে তিনটে নাগাদ প্রদীপ রায় নামে জনৈক ওই ব্যক্তি-সহ আরও ১০-১২ জন মিশনের ঘরে ঢোকে। রামকৃষ্ণ মিশনের কয়েকজন কর্মী সেখানে ছিলেন। তাঁদেরকে ভয় দেখানো হয়, মারধর করে, মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সিসিটিভি ফুটেজ নষ্ট করা হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশকর্তা জানিয়েছেন।
জমির মালিক তবে কে?
পুলিশ কর্তা জামিয়েছেন, মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় একটি কেস করেছেন। সিভিল কেস। তিনি দাবি করেছেন, রামকৃষ্ণ মিশনের ওই জমিটার মালিক তিনি। উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি টুকা সিং নামে এক জনের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। টুকা সিংয়ের কোনও ছেলেমেয়ে নেই। ওঁর বাড়িতে থাকতেন বিদ্যেশ্বরী রায়। তাঁরই ছেলে প্রদীপ রায়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, টুকা সিং অনেক আগেই জমি বিক্রি করে দিয়েছিলেন হরদুয়াল সিং গিল বলে এক ভদ্রলোকের কাছে। তিনি আবার এই জমি বিক্রি করেছিলেন এস কে রায় নামে আরেক ব্যক্তির কাছে। এস কে রায় গিফট ডিড করেছিলেন রামকৃষ্ণ মিশনকে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই জমির বর্তমান মালিকানা রামকৃষ্ণ মিশনের। প্রদীপের দাবি ঠিক নয় বলে সাংবাদিক বৈঠকেই জানিয়ে দেন পুলিশ কর্তা। ল্যান্ড রেকর্ড অনুযায়ীস এই জমি টুকা সিংয়ের নামে। কারণ মিউটেশন হয়নি।
কিন্তু তাহলে কেন গ্রেফতার করা হল না পুলিশ? যে আক্রান্ত, সেই মিশনের বিরুদ্ধেই কেন জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা? এমনকি FIR কপিতে যাঁর নাম করা হয়েছে, স্বামী অক্ষয়ানন্দ মহারাজ ১৫ বছর আগেই জলপাইগুড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তিনি বর্তমানে প্রয়াগরাজে থাকেন। তাঁর বিরুদ্ধে কীভাবে FIR করল পুলিশ?
প্রশ্নের একেবারেই চুপ ছিলেন পুলিশকর্তা। কেবল জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। প্রদীপের খোঁজে তল্লাশি চলছে। প্রথম কোনও অভিযোগ এলে কেস স্টার্ট করতে হয়, আর সেই কারণে মিশনের বিরুদ্ধে FIR বলে জানান তিনি। প্রদীপের বিরুদ্ধে যে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়নি, তাও স্বীকার করেন। কিন্তু কেন? সে প্রশ্নের কোনও জবাব মেলেনি। আইসির বিরুদ্ধে অন্তর্বিভাগীয় তদন্তের পর পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তা।