শিলিগুড়ি: দক্ষিণবঙ্গের পর এবার উত্তরবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার শিলিগুড়িতে সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের পাশাপাশি জনসভাও করেন তিনি। আর সেই সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে উপস্থিত সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন মোদী। ভরা জনসভায় প্রধানন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, “আমি ক্ষমা চাইছি। আমার আসতে একটু দেরি হয়েছে। আপনাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে। আজ সকালে আমি কাজিরাঙায় ছিলাম। সেখান থেকে অরুণাচল যাই, অসমেও অনুষ্ঠান ছিল। তারপর এখানে এসেছি। এখান থেকে কাশী যাচ্ছি। এখানে রাস্তায় ১২ কিলোমিটার রোড শো হয়েছে। পরিকল্পনা ছিল না। হঠাৎই হয়। ওদের সম্মানে আমি গাড়ি আসতে চালাই, তাই আসতে দেরি হল। আপনাদের সকলের অসুবিধা হল। এ জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।”
এদিন শিলিগুড়ির কাওয়াখালি ময়দানে সভা করেন নরেন্দ্র মোদী। বলেন, এখানে আগেও এসেছেন। এখানে এলে মনে হয় ‘মিনি ভারত’ দর্শন হল। এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ছোট ছোট সুবিধার জন্য কীভাবে মহিলাদের লড়াই করতে হয় তা আমি দেখেছি। তাই আমি চেষ্টা করি শৌচালয়, নলবাহিত জল, বিদ্যুতের খরচের দিকে নজর রাখার, জোর দিচ্ছি। সব মায়েদের জীবন সহজ সরল হোক আমার তার চেষ্টা করি।”
এদিনে মঞ্চ থেকে তৃণমূল, কংগ্রেস ও বামেদের একসঙ্গে তোপ দাগেন মোদী। বলেন গরিব বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। বলেন, “এখানকার মানুষের সমস্যা বামেরা শোনেনি। পরে তৃণমূলও শোনেনি। এরা গরিবের জমি দখলে ব্যস্ত। আমাকে যখন সুযোগ দিয়েছেন, আমি উজ্জ্বলা দিয়েছি। কিন্তু এখানকার তৃণমূল সরকার ১৪ লক্ষের বেশি মহিলাকে উজ্জ্বলার কানেকশন নিতে দিচ্ছে না।” বলেন বিনামূল্যে রেশন, আয়ুষ্মান যোজনাও তৃণমূল সরকার বিরোধিতা করেছে।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা দিল্লি থেকে পাঠানো হয়। কিন্তু তৃণমূল সরকারের তোলাবাজদের পয়সা দিতে ২৫ লক্ষ ভুয়ো জবকার্ড বানিয়ে দেওয়া হয়েছে এ রাজ্যে। মোদীর কথায়, পদে পদে মানুষকে লুট করে তৃণমূল।