Water crisis in Siliguri: প্রবল জল সঙ্কটে শিলিগুড়ি, জরুরি বৈঠকে মেয়র, ১ লক্ষ জলের পাউচ কিনছে পুরনিগম

Water crisis in Siliguri: তবে শহরাবাসীর যাতে সমস্যা না হয় তার জন্য পর্যাপ্ত জলের ট্যাঙ্ক ও পাউচের ব্যবস্থা করছে পুরনিগম। পাশাপাশি ৬ কোটি ৯ লক্ষ টাকা দিয়ে যে জলাশয় বানানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল তার কাজও ১ মাসের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Water crisis in Siliguri: প্রবল জল সঙ্কটে শিলিগুড়ি, জরুরি বৈঠকে মেয়র, ১ লক্ষ জলের পাউচ কিনছে পুরনিগম
সমস্যায় শিলিগুড়ির বাসিন্দারা Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 10, 2024 | 12:22 AM

শিলিগুড়ি : তিস্তা নদীর বাঁধ মেরামতের কারণে শিলিগুড়িতে ফের জলকষ্ট। ১০ মে থেকে প্রায় ১ মাসের জন্য পানীয় জল সরবরাহে সমস্যা হতে চলেছে। কারণ ওই সময় তিস্তা থেকে জল নেওয়া যাবে না। শুধু মহানন্দা থেকে জল নিয়ে তা গোটা শহরে সরবরাহ করতে হবে। কিন্তু তার পরিমাণ খুবই কম। স্বভাবতই চিন্তায় গোটা শহর। তাই এই সমস্যা মেটাতে রবিবারই বৈঠকে বসেন মেয়র গৌতম দেব। পুরনিগমের কক্ষে জনস্বাস্থ্য কারিগরি, সেচ দফতর সহ পুরনিগমের জল বিভাগের আধিকারিকের নিয়ে বৈঠক করেন তিনি। ওই সময় জলকষ্ট সামাল দিতে আপাতত ১ লক্ষ জলের পাউচ কিনছে পুরনিগম। 

গরম পড়তেই শহরে জলকষ্ট শুরু হয়েছে। বেশকিছু ওয়ার্ডে জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো আছে।  এরই মাঝে এবার ফের প্রায় ১ মাসের জন্য তিস্তায় মেরামতির জেরে এই সংকট প্রবল আকার ধারণা করবে। ফলে, জল সমস্যায় পড়তে চলেছে শহরবাসী। সিকিমের হড়পা বানের জন্যই তিস্তা নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। আবার পলি মাটিও জমে গিয়েছে। তাই বর্ষার আগেই বাঁধ মেরামতের পাশাপাশি পলিও পরিষ্কার করা হবে। একারণেই তিস্তা থেকে জল তোলা যাবে না। ইতিমধ্যে এই কাজ করার জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও সেচ দফতর একটি নকশা তৈরি করে নিয়েছে। তবে নির্বাচনের বিধিনিষেধের কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছিল না। এবার নির্বাচন কমিশন থেকে অনুমতি নিয়ে এই কাজ করা হচ্ছে।

তবে শহরাবাসীর যাতে সমস্যা না হয় তার জন্য পর্যাপ্ত জলের ট্যাঙ্ক ও পাউচের ব্যবস্থা করছে পুরনিগম। পাশাপাশি ৬ কোটি ৯ লক্ষ টাকা দিয়ে যে জলাশয় বানানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল তার কাজও ১ মাসের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে শহরে জলের সমস্যা মেটানো যায়। 

এই খবরটিও পড়ুন

মেয়র গৌতম দেব বলেন, “জলের সমস্যার জন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী শহরবাসীর কাছে। কিন্তু আমরা রাস্তায় থাকব কোথাও জলের অভাব হবে না। আমরা ট্যাঙ্ক, পাউচ পাঠিয়ে দেব। তবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও সেচ দফতর কাজ শেষ করতে ১মাস চাইলেও আমরা বলেছি ২০দিনের মধ্যেই কাজ শেষ করতে হবে। এদিকে আমরা জলাশয়ের কাজের অগ্রগতিও দেখতে যাব।”