School Teacher: জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে সটান স্কুলে ঢুকে কাজে যোগ দিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Feb 07, 2023 | 4:53 PM

School Teacher: ২০ জানুয়ারি গ্রেফতার হয়েছিলেন পঙ্কজ। পুলিশি হেফাজত ও জেল হেফাজত মিলিয়ে ১৫ দিন কাটানোর পর ৪ ফেব্রুয়ারি জামিন পান। তারপরই সোজা স্কুলে হাজিরা।

School Teacher: জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে সটান স্কুলে ঢুকে কাজে যোগ দিলেন অভিযুক্ত শিক্ষক
অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক

Follow Us

শিলিগুড়ি: চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শিলিগুড়ির বরদাকান্ত স্কুলের শিক্ষক পঙ্কজ বর্মণের বিরুদ্ধে। ১৭ লাখ টাকা হাতানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। গ্রেফতারও হয়েছিলেন। এরপর জামিনে মুক্তি পেয়েই ফের স্কুলে যোগ দিলেন ওই শিক্ষক। পড়ুয়াদের ক্লাসও নিলেন। রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে সাম্প্রতিককালে একের পর এক যে অভিযোগ উঠে এসেছে, সেই পরিস্থিতিতে এমন ঘটনা কার্যত নজিরবিহীন বলেই মনে করছে শিক্ষা মহলের একাংশ। ২০ জানুয়ারি গ্রেফতার হয়েছিলেন পঙ্কজ। পুলিশি হেফাজত ও জেল হেফাজত মিলিয়ে ১৫ দিন কাটানোর পর ৪ ফেব্রুয়ারি জামিন পান। তারপরই সোজা স্কুলে হাজিরা। আরও তাজ্জব করে দেওয়ার বিষয় হল, পঙ্কজ বর্মণ যে গ্রেফতার হয়েছিলেন, এতদিন জেলে ছিলেন, তা সরকারিভাবে জানেই না স্কুল কর্তৃপক্ষ।

আইনিভাবে ৪৮ ঘণ্টার বেশি জেল হেফাজতে কাটিয়ে ফেরার পর সংশ্লিষ্ট সরকারী কর্মীর সাসপেন্ড হওয়ার কথা। পরবর্তী সময়ে যথোপযুক্ত নিয়ম মেনে ক্লিনচিট নিয়ে আবার তিনি কাজে যোগ দিতে পারেন। কিন্তু এক্ষেত্রে সে-সবের বালাই নেই। জামিন পেয়েই একেবারে স্কুলে চলে এসেছেন শিক্ষক। কাজে যোগ দিয়ে পড়াচ্ছেন পড়ুয়াদের। আজ স্কুলে গিয়ে দেখা যায় বেশ খোশ মেজাজেই রয়েছেন পঙ্কজবাবু। প্রশ্ন করায় বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। পুরোটাই বিচারাধীন বিষয়। এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্র। আমি যা যা জানানোর, তা জানিয়েছি।’

স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলছেন, ৪৮ ঘণ্টার বেশি সরকারি কর্মী জেলে থাকলে, কী নিয়ম তা তিনিও জানেন। বললেন, ‘সংবাদমাধ্যমের থেকে জেনেছি ওই শিক্ষক জেলে ছিলেন। কিন্তু, সরকারিভাবে স্কুলের কাছে কোনও রিপোর্ট আসেনি এই বিষয়ে। প্রপার চ্যানেলের মাধ্যমে আমরা কিছু জানিনি। স্কুল স্কুলের জায়গায় ঠিক আছে।’ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দাবি, পঙ্কজ বর্মণ এত দিন গ্রেফতার হয়ে জেলে ছিলেন কি না, তা সরকারি ভাবে জানা নেই। তাই ছুটি কাটিয়ে আজ কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি। তাঁকে বাধা দেওয়া হয়নি।

প্রসঙ্গত, ওই শিক্ষক যে গ্রেফতার হয়ে জেলে রয়েছেন, তা জেলা সরকারিভাবে স্কুলের জানার কথা। পুলিশের তরফে সংশ্লিষ্ট স্কুলকে বা জেলার শিক্ষা দফতরকে জানানো হয় বিষয়টি। তারপর তা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কোথাও সরকারি নিয়ম মানায় গাফিলতি রয়ে গিয়েছে? নাহলে কেন জানে না স্কুল কর্তৃপক্ষ? জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষক স্কুলকে জানিয়েছে, তিনি ব্যক্তিগত কাজে স্কুলে আসতে পারেননি। তাঁর সেই কথাকেই বিশ্বাস করে নিয়ে ছুটি মঞ্জুর করে দিয়েছে স্কুলও।

যদিও এবিটিএ’র সদস্য সহ শিক্ষকদের একাংশের প্রশ্ন, এভাবে কাকে আড়াল করা হচ্ছে? গুরুতর অভিযোগে বিদ্ধ এক স্কুল শিক্ষক জেলে কাটালেন। সকলে জানেন, আর শিক্ষা দফতর জানল না? এটা আরও একটা লজ্জার দিন বলেই মনে করছেন তাঁরা।

Next Article