AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বাড়ির নীচে চোরাকুঠুরি, রমরমিয়ে চলত জাল মদের কারখানা! ধৃত তৃণমূল নেতা

TMC: তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃত তৃণমূল (TMC) নেতার ওই 'গোপন ডেরা' থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার মদ (Distilled Wine) তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে।

বাড়ির নীচে চোরাকুঠুরি, রমরমিয়ে চলত জাল মদের কারখানা! ধৃত তৃণমূল নেতা
ধৃত তৃণমূল নেতা ও উদ্ধার হওয়া জাল মদ, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jul 25, 2021 | 1:36 PM
Share

শিলিগুড়ি: বাড়ির নীচে চোরাকুঠুরি। জানতেন না কেউ। সেই কুঠুরির গোপন ঘরে বসেই চলত জাল মদ (Distilled Wine) তৈরির কাজ। শিলিগুড়ি মহকুমার বিধান নগরে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) অঞ্চল সভাপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার হলো প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার মদ তৈরি সরঞ্জাম! যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশের!

পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরে জাল মদ (Distilled Wine) উত্তরবঙ্গ হয়ে বিহারে পাচার হওয়ার খবর আসছিল। আন্তঃরাজ্যের এই মাদক চক্রটির সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত তা প্রথমে বুঝতে পারেননি তদন্তকারীরা। বিহার পুলিশের তদন্তের জেরে ধৃত তৃণমূল নেতা বিশ্বজিত্‍ সরকারের খোঁজ মেলে। গত ১৯ জুলাই, ওই তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে বিহার পুলিশ। চলে জিজ্ঞাসাবাদ। ধৃত তৃণমূল নেতার কথাতেই শনিবার রাতে তাঁরই বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। আবিষ্কার হয় ঘরের নীচে আস্ত একটি চোরাকুঠুরি। সেই কুঠুরির মধ্যেই তৈরি করা হয়েছে কারখানা। সেখানেই তৈরি হত জাল মদ। সেই মদ পাচার হয়ে যেত রাজ্য ছাড়িয়ে ভিনরাজ্যে।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ধৃত তৃণমূল (TMC) নেতার ওই ‘গোপন ডেরা’ থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার মদ (Distilled Wine) তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়েছে। কারখানায় সার দিয়ে রাখা ২০০ লিটার স্পিরিটের ৯০ টি জার। পাশাপাশি, উদ্ধার হয়েছে একাধিক কাচের বোতল, কার্টুন, প্লাস্টিকের বোতল ছাড়াও নামীদামী বিভিন্ন মদের ব্র্যান্ডের লেবেল-সহ একাধিক সামগ্রী।

ঘটনায়, জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, “আমরা বিশ্বজিত্‍ সরকারকে দল থেকে  বহিষ্কার করেছি। দল এসব বরদাস্ত করে না। বিশ্বজিত্‍ দলের কোনও পদে ছিল না। বর্তমানে তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।” পাল্টা,  বিজেপির (BJP) জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজু সাহা বলেন,  “এখন সব প্রকাশ্যে আসায় দায় এড়াচ্ছে তৃণমূল। ওই জাল মদের কারবারি এলাকার প্রতিষ্ঠিত তৃণমূল নেতা। সব অন্যষ্ঠানে সামনের সারিতে থাকিতেন তিনি। বিহার পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেফতার করে। বাংলার পুলিশ কি কিছুই জানত না? নাকি শাসক দলে থাকলে সব মাপ হয়ে যায়?” আরও পড়ুন: হাসপাতালের বাইরে ‘ঘুরঘুর’ করতে দেখে সন্দেহ হয়, হাতেনাতে ধরা পড়ল ‘রক্তের কারবারি’!