AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

হাসপাতালের বাইরে ‘ঘুরঘুর’ করতে দেখে সন্দেহ হয়, হাতেনাতে ধরা পড়ল ‘রক্তের কারবারি’!

Raiganj: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই খবর আসছিল, বেনিয়মে টাকার বদলে রক্ত বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু কে বা কারা এর সঙ্গে যুক্ত তা স্পষ্ট ছিল না।

হাসপাতালের বাইরে 'ঘুরঘুর' করতে দেখে সন্দেহ হয়, হাতেনাতে ধরা পড়ল 'রক্তের কারবারি'!
ধৃত দুই অভিযুক্ত, বাঁদিক থেকে চঞ্চল মল্লিক ও টুকাই সরকার, নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Jul 24, 2021 | 11:46 PM
Share

উত্তর দিনাজপুর: ‘ফেলো কড়ি, নাও রক্ত’! সরকারি ব্লাডব্যাঙ্কের সামনে প্রায়ই ঘোরাঘোরি করতেন দুই যুবক। কখনও বা বসে থাকতেন। বেশ কিছুদিন ধরে একইভাবে তাঁদের ঘুরঘুর করতে দেখে সন্দেহ হয় কর্তৃপক্ষে। টাকার বিনিময়ে সরকারি ব্লাডব্যাঙ্কের সামনে রক্ত বিক্রি করার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে ধৃত চঞ্চল মল্লিক ও টুকাই সরকার দেবীনগরের বাসিন্দা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই খবর আসছিল, বেনিয়মে টাকার বদলে রক্ত বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু কে বা কারা এর সঙ্গে যুক্ত তা স্পষ্ট ছিল না। ধৃত দুই যুবক দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের সামনে বসে থাকতেন নয় ঘোরাফেরা করতেন বলে অভিযোগ। কিছু কিছু সময়ে রক্ত সঙ্কট দেখা দিলে রোগীর পরিবারের থেকে মোটা টাকার বদলে তাঁরা রক্ত দিতেন। অভিযোগ, এই দালাল চক্র এতটাই বিস্তৃত হয়েছিল যে রোগীরা ভুল তথ্য পেয়ে বিপাকে পড়তেন। উপায়ান্তর না দেখে নিজের স্বজনকে বাঁচাতে ওই দালালদের থেকেই মোটা টাকায় রক্ত কিনতে বাধ্য থাকতেন। অবৈধ এই রক্ত বিক্রির কারবাররের কোনও অকাট্য় প্রমাণ হাতে না পেলেও সন্দেহের জেরেই রায়গঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপরেই পদক্ষেপ করে পুলিশ।

শনিবার দুপুরে ধৃত দুই যুবককে রক্ত বিক্রি করতে দেখে হাতেনাতে ধরে পুলিশ। যদিও দুজনেই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ধৃত চঞ্চল মল্লিকের কথায়, “আমি দাঁতের ব্যথায় ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম। সেখানে বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। আমরা চলে আসছিলাম, তখনই পুলিশ আমাদের ধরে।” অন্যদিকে, অপর অভিযুক্ত টুকাই সরকার বলেন, “আমি রক্ত দিতে এসেছিলাম। আমি মাঝেমধ্যেই রক্ত দিয়ে থাকি। এই ধরনের কোনও টাকা পয়সা আমি নিইনি।” প্রাথমিক তদন্তের পর যদিও পুলিশের অনুমান,  এই চক্রে কেবল ওই দুই যুবকই নন, হাসপাতালের অন্য কর্মীদেরও কেউ কেউ যুক্ত থাকতে পারেন। তবে তাঁরা কে বা কারা তা খতিয়ে দেখছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। আরও পড়ুন: ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রবেশদ্বার উত্তরবঙ্গ! দাবি চিকিত্‍সকদের, তথ্য গোপন স্বাস্থ্যদফতরের?