Siliguri Protest: একটানা ১২দিন ধরে BSNL অফিসের সামনে বিক্ষোভ তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের, পরিষেবা বন্ধ হওয়ার জোগাড়
Siliguri Protest: জানা গিয়েছে, ১৬ মাসের বেতন না মেলায় গত বারোদিন ধরে শিলিগুড়িতে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ তালাবন্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল প্রভাবিত ঠিককর্মীদের সংগঠন।
শিলিগুড়ি: একটানা বারোদিন ধরে চলছে আন্দোলন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের আন্দোলন। যার জেরে তালাবন্ধ অবস্থায় শিলিগুড়ির বিএসএনএল (BSNL) এক্সচেঞ্জ অফিস। ভেঙে পড়ার উপক্রম যোগাযোগ ব্যবস্থার।
জানা গিয়েছে, ১৬ মাসের বেতন না মেলায় গত বারোদিন ধরে শিলিগুড়িতে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ তালাবন্ধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল প্রভাবিত ঠিককর্মীদের সংগঠন। এর জেরে এক্সচেঞ্জ বসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সুকনায় সামরিক বাহিনীর সদর দফতর সহ জেলার যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরের ল্যান্ডলাইন ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধ হওয়ার জোগাড়। শুধু তাই নয়, এছাড়াও অপটিক্যাল ফাইবার কানেকশনও যে কোনও সময় বসে যেতে পারে। আর তা হলে, কার্যত শিলিগুড়িসহ জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়তে পারে। যদিও, অনড় ঠিকাকর্মীরা মুখ্যমন্ত্রীর ছবিসহ পোস্টার নিয়ে গেট আটকে রেখেছেন।
তৃণমূল প্রভাবিত বিএসএনএল ঠিকাকর্মীদের অভিযোগ, কলকাতার এক সংস্থার অধীনে তাঁরা কাজ করতেন। গত ১৬ মাস ধরে বেতন আসেনি। ঠিকাদার জানিয়েছেন দফতর থেকে অর্থ না মেলায় তা দিতে পারছেন না তিনি। এর প্রতিবাদেই গেট আটকে বারো দিন ধরে লাগাতার আন্দোলন চলছে। বেতন না মেলায় তাঁরাও আর্থিক সংকটে থাকলেও কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
সংঠনের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট অশোক দাস, ‘আমাদের অফিস আজকে বারো দিন ধরে বন্ধ। কারণ আমরা অর্থাৎ বেতন পাচ্ছি না। সাংসদ রাজু বিস্তা আসার পর আমরা দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্ত আমাদের সময় দেওয়া হয়নি। তখন অবস্থান বিক্ষোভে বসি। এরপর সময় দেন। আশ্বাস দেওয়া হয় পুজোর আগে মাইনে হয়ে যাবে। আমরা সবাই ঠিকাদারদের অধীনে।আর ঠিকাদারকেই তো ম্যানেজমেন্ট টাকা দিচ্ছে না। সেই কারণে আমরাও টাকা পাচ্ছি না।’
অন্যদিকে বিএসএনএল কর্তারা জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ছবিসহ পোস্টার সামনে রেখে কার্যত মস্তানি চলছে। নিরাপত্তার স্বার্থে এই এক্সচেঞ্জ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামরিক বাহিনীর হটলাইনসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যম এই এক্সচেঞ্জ। গত এক নভেম্বর থেকে ওই এক্সচেঞ্জ আটকে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে দফতরের তরফে পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়েও লাভ হয়নি। কার্যত অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে ওই এক্সচেঞ্জ।