শিলিগুড়ি ও গ্যাংটক : ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকা। কম্পন অনুভূত হয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গাতেও। ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল গ্যাংটক। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ৪.৩।
রাত প্রায় ৯ টা ৫০ মিনিট নাগাদ ভূমিকম্প অনুভূত হয়ে পূর্ব সিকিমের বিস্তীর্ণ এলাকায়। ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র গ্যাংটকের থেকে ১৮ কিলোমিটার পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্বে। কম্পনের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬ কিলোমিটার।
ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দার্জিলিং থেকে ৬৫ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে। সিকিম ও উত্তর বঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা ছাড়াও ভূটান এবং নেপালেরও বেশ কিছু এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়েছে।
Earthquake of Magnitude:4.3, Occurred on 07-11-2021, 21:50:45 IST, Lat: 27.25 & Long: 88.77, Depth: 6 Km ,Location: 18km ESE of Gangtok, Sikkim for more information download the BhooKamp App https://t.co/gezBFgTQnK pic.twitter.com/51eyEb70tT
— National Center for Seismology (@NCS_Earthquake) November 7, 2021
এদিকে ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে দার্জিলিং, গ্যাংটকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে অনেককে। আচমকা এই ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মনে। ভয়ে বাড়ি-ঘর, দোকান-পাট ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। আতঙ্কে রাস্তায় ছোটাছুটি করতে দেখা যায় স্থানীয়দের।
অনেক পর্যটকও রয়েছেন সেখানে। তাঁদের মনেও আতঙ্ক গ্রাস করেছে ভূমিকম্পের পর। বিশেষ করে পুজোর এই মরশুমে বহু বাঙালি পর্যটকই শৈল শহরগুলিতে ছুটি কাটাতে যান। পর্যটকদের ভিড় এই সময়টা বেশিই থাকে। ভূমিকম্পের জেরে পর্যটকদেরও অনেকের মনে আতঙ্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
একমাসের মধ্যে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সিকিম সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। এর আগে ১৮ অক্টোবর কম্পন অনুভূত হয়েছিল সিকিম, দার্জিলিঙে। সেই সময় রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৪। ১৮ অক্টোবরের ভূমিকম্পের উৎসস্থল নেপালের সিন্ধুপালচক জেলা। নেপালের সিসমোলজিক্যাল সেন্টার থেকে জানানো হয়েছে, কাঠমান্ডুর থেকে ১১৪ কিলোমিটার পূর্বে মধ্য নেপালের সিন্ধুপালচক জেলার পানফুং জেলায় ভূমিকম্পের এপিসেন্টার।
তার আগে ৮ অক্টোবর, ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠেছিল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অংশ। সেদিন রাত ১২টা নাগাদ এই কম্পন অনুভূত হয়। জলপাইগুড়ির বিভিন্ন জায়গা বিশেষ করে ধূপগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গা মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল। জানা গিয়েছে, মায়ানমার ছিল এই ভূকম্পনের উৎসস্থল। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ৫.৫।
জলপাইগুড়ির বিভিন্ন জায়গা হঠাৎই দুলে ওঠে সেদিন মধ্যরাতে। বিশেষ করে ধূপগুড়ি। ভূমিকম্পের ভয়ে ঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসেন মানুষজন। উঁচু বাড়িগুলিতে কম্পন সবথেকে বেশি বোঝা যায়। রাস্তায় নেমে অনেককেই উলুধ্বনি দিতে শোনা যায়। শঙ্খও বাজাতে থাকেন ঘরের মহিলারা। এদিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গাতেও একই সময়ে মৃদু ভূমিকম্প হয়। সেখানেও লোকজন ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন : RG Kar Hospital: এবার আরজি করের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের