শিলিগুড়ি: বিমল গুরুঙের (Bimal Gurung) কবিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা রয়েছে। তবুও কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। এবার প্রশ্ন তুলল খোদ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) সুনীল আরোরা (Sunil Arora)। বিষয়টি কমিশনের নজর এড়িয়ে যায়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। পুলিশ অবসার্ভার রিপোর্ট দেবেন বলে জানান তিনি।
বুধবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। অনিত থাপা প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেন সুনীল আরোরা। তিনি বলেন, “রাজ্যের সমস্ত পৌরসভা থেকে প্রশাসক বোর্ডে থাকা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সরানো হলেও জিটিএ প্রশাসক বোর্ডে বহাল আছেন অনিত থাপা।” এই নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। রিপোর্ট হাতে পাওয়া মাত্রই অনিত থাপাকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।
বিমল গুরুঙ প্রসঙ্গে সুনীল আরোরা জানান, বিমল গুরুঙকে কেন গ্রেফতার করা হয়নি তা নিয়ে ক্লোসড ডোর বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচব, এডিজি আইনশৃঙ্খলা জগমোহনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যদিও কী আলোচনা হয়েছে তা স্পষ্ট করেননি তিনি। প্রসঙ্গতে, প্রায় তিন বছর পর পাহাড়ের রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করেছেন বিমল গুরুঙ। শুধু তাই নয়, তরাই, উপত্যকা থেকে শুরু করে পাহাড়ের বুকে দাঁড়িয়ে সভা করেছেন তিনি।
কমিশনের নজরদারির আওতায় রাজ্যের পর্যবেক্ষকেরাও থাকছেন বলে জানান তিনি। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানান ইতিমধ্যেই এক সাধারণ পর্যবেক্ষককে সরানো হয়েছে। তিনি মহিলা আধিকারিকদের সঙ্গে খারাপ দুর্ব্যবহার করেছিলেন।
কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন মানার বিষয়েও কঠোর হতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। রাজ্য জুড়ে বোমা উদ্ধার, একাধিক জেলায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানান, রাজ্যের পুলিশ পর্যবেক্ষকদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। এগুলি কমিয়ে আনতে সদর্থক ভূমিকা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ফের জোরাল হচ্ছে প্রার্থী বদলের সম্ভাবনা! রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি বিজেপির জেলা নেতৃত্বের
সমস্ত বিষয় নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে আজ ভিডিয়ো কনফারেন্সে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন। রাজ্য জুড়ে এবার কালো টাকা, বেআইনি মদ, মাদক উদ্ধারের ঘটনা অন্য বারের তুলনায় বেশি বলেও জানিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি ভোটের ক’দিন আগে থেকে সিভিক পুলিশ ও গ্রিন পুলিশের ব্যবহার করা যাবে না বলেও আজ স্পষ্ট জানিয়েছে কমিশন।