দার্জিলিং: প্রথম দফার ভোট শুরু হতে বাকি নেই ৭২ ঘণ্টাও। তবে রাজ্যজুড়ে অশান্তি অব্যাহত। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কোথাও বোমা উদ্ধার হচ্ছে, কোথাও আবার বোমাবাজির ঘটনা ঘটছে। একের পর এক এহেন ঘটনায় তিতিবিরক্ত কমিশন (Election Commission)। বুধবার শিলিগুড়িতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা (Sunil Arora) এই প্রসঙ্গে পর্যবেক্ষক, পুলিশ পর্যবেক্ষক ও রাজ্যের মুখ্যসচিব-সহ পুলিশকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। সমস্যাগুলি মেটাতে সদর্থক পদক্ষেপ করা হয়েছে। অপসারিত হতে হয়েছে এক পর্যবেক্ষককেও।
ভোট প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণভাবে করতে বাংলায় কড়া নজর রেখেছে কমিশন। নজরদারির আওতায় রয়েছেন খোদ পর্যবেক্ষকরাও। আজ শিলিগুড়িতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা জানান, মহিলা আধিকারিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে এক পর্যবেক্ষককে রাতারাতি সরিয়েও দেওয়া হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, অপসারিত সাধারণ পর্যবেক্ষকের নাম নরেন্দ্র প্রসাদ পাণ্ডে। তিনি কাশীপুর বিধানসভার পর্যবেক্ষক ছিলেন।
রাজ্যের সমস্ত পুরপ্রশাসক বোর্ডে থাকা রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সরানো হলেও জিটিএ প্রশাসক বোর্ডে বহাল রয়েছেন অনিত থাপা। এ নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, ওই রিপোর্ট মেলার পরই সরানো হতে পারে অনিতকেও। অন্যদিকে গুরুংয়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা থাকলেও তিনি গ্রেফতার না হওয়ার বিষয়টি কমিশনের নজরে রয়েছে বলেও জানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ পর্যবেক্ষক রিপোর্ট দেবেন। রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, এডিজি আইনশৃঙ্খলা জগমোহনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানান আরোরা। যদিও কোন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা স্পষ্ট করেন নি তিনি।
কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন মানার বিষয়েও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলিকেও নিজেদের দায়িত্ববোধ মনে করিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলেছে কমিশন।
আরও পড়ুন: একুশে কার দখলে উত্তরবঙ্গ? দক্ষিণের হাওয়া কোন পালে? জানুন পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা
উল্লেখ্য, গতকালই শিলিগুড়িতে আসে নির্বাচন কমিশনের ফুলবেঞ্চ। গতকাল আট জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে সরাসরি বৈঠক ছাড়াও আরও ১১ জেলার আধিকারিকদের সঙ্গেও ভার্চুয়াল বৈঠক করেন কমিশনের শীর্ষ কর্তারা। আজ সমস্ত বিষয় নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা জানান, রাজ্যজুড়ে এ বার কালো টাকা, বেআইনি মদ, মাদক উদ্ধারের ঘটনা অন্যান্যবারের তুলনায় বেশি। ভোটের ক’দিন আগে থেকে ভোট না মেটা পর্যন্ত সিভিক পুলিশ ও গ্রিন পুলিশের ব্যবহার করা যাবে না বলেও আজ স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, কোচবিহারে এক বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে পুলিশ পর্যবেক্ষকদের রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন।
আরও পড়ুন: একুশে কি ত্রিশঙ্কু বিধানসভা, নাকি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা? কী বলছে সমীক্ষা?