শিলিগুড়ি: ফের প্রবল বৃষ্টি পাহাড়ে। রবিবার প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে সিকিম-সহ দার্জিলিং, কালিম্পং, ডুয়ার্স ও শিলিগুড়িতে। বৃষ্টির জেরে সিকিমগামী জাতীয় সড়কে একাধিক জায়গায় ধস দেখা দিয়েছে। সোমবার আরও বেশ কিছু জায়গায় ধসের আশঙ্কায় ত্রস্ত পাহাড়।
উত্তর সিকিমের একাধিক জায়গায় ধসে বহু রাস্তা বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পর্যটকরা। কারণ পুজোর এই মরসুমে সিকিম পাহাড় পর্যটকে ঠাসা। এই পরিস্থিতিতে সিকিমে একাধিক জায়গায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্যা হলে দ্রুত ওই হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে নির্দেশ দিয়েছে সিকিম প্রশাসন।
লক্ষ্মীপুজোতেও বৃষ্টি কাঁটা। সোমবার উত্তরবঙ্গের চার জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে। ভারী বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিংয়ে। কমলা সতর্কতা রয়েছে সিকিমেও। শনিবারই বৃষ্টিতে মালবাজারে মাল নদীতে হড়পা বান আসে। চেলখোলায় বানভাসি হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। এবার সিকিম-সহ দার্জিলিং, কালিম্পং, গরুবাথান, লাভা-লোলেগাঁও-সহ ওই এলাকাগুলিতে ভারী বৃষ্টি চলছে।
শনিবার রাতে জাতীয় সড়ক (১০) কার্যত বিচ্ছিন্ন থাকার পর রবিবার সকালে তা খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু এদিন বৃষ্টি আরও বেড়েছে। ফলে নদীগুলিতেও জলস্তর বাড়ছে। তিস্তা-মহানন্দা-সহ ডুয়ার্সের নদীগুলিতেও জলস্তর বাড়ছে। ভুটান ও সিকিম পাহাড়ে টানা বৃষ্টিতে জল বেড়েছে রমতি নদীতে। শিলিগুড়ি মালবাজারগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বইছে এক হাঁটু জল। জলের স্রোতের কারণে গাড়ি চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এর আগে মালবাজারে মাল নদীতে দশমীর রাতে ভয়াবহ হড়পা বানে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে আটটি প্রাণ। আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। হড়পা বান এসেছে শনিবারও।
সিকিম পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির জেরে তিস্তার পাহাড়ি এলাকায় জলস্তর বেড়েছে। সেচ দফতরের কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ৯টা ২০ নাগাদ নাগাদ সেবক সংলগ্ন কালিঝোড়া থেকে ২৫০০ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে। এই জল এবার গজলডোবা হয়ে ডাউন স্ট্রিম দোমহনীতে মাঝরাতের দিকে আসবে। তবে এই মুহূর্তে তিস্তার পরিস্থিতি অতি স্বাভাবিক। কোনও সতর্কতা জারি নেই বলে সেচ দফতরের কন্ট্রোল রুম সূত্রে খবর।