ধূপগুড়ি : ফের একবার কম্পনে আতঙ্ক ছড়াল রাজ্যের উত্তরে। কোচবিহার, ডুয়ার্স সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত হল। শুক্রবার দুপুরে পরপর দুবার কেঁপে উঠেছে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। জানা গিয়েছে, মিজোরামে এই কম্পনের উৎসস্থল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬। পরপর দুবার কম্পন অনুভূত হয় এ দিন। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিছুদিন আগে এ ভাবেই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল উত্তরবঙ্গে। আর এ দিন কম্পনের মাত্রা তার থেকেও বেশি।
জানা গিয়েছে, এ দিন প্রথমে দুপুর ৩ টে ৪৪ মিনিটে ও পরে দুপুর ৩ টে ৫৫ মিনিটে, পরপর দু’বার কম্পন অনুভূত হয়। অনেকেই আচমকা কম্পনে কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। তাঁরা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে হওয়া এই ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মিজোরামের চম্পাই থেকে ৫৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে। মায়ানমার সীমান্তের কাছেই হয় সেই ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে মাত্রা ঠিল ৫.৬। মিজোরামে হওয়া সেই কম্পনের প্রভাবই পড়েছে উত্তরবঙ্গে। শুধু এ রাজ্যের উত্তরেই নয়, কম্পনের প্রভাব পড়েছে মনিপুর, অসমের বিস্তীর্ণ অঞ্চলেও। উৎসস্থলের গভীরতা ৬০ কিলোমিটার। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান জানা যায়নি।
চলতি মাসের শুরুর দিকে আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়। গত ৬ জানুয়ারি কম্পনের উৎসস্থল ছিল ভুটানের থিম্পুতে। তারই প্রভাব পড়েছিল এ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায়। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩।
উল্লেখ্য, ২০২১-এর এপ্রিলেও প্রবল কম্পন অনুভূত হয়েছিল ডুয়ার্স, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি সহ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো জেলাগুলিতেও। কলকাতাতেও অনুভূত হয় মৃদু কম্পন। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৪, যেটির কেন্দ্রস্থল ছিল সিকিম-নেপাল সীমান্ত। ভারত ও ভুটানের সীমান্তে পেডংয়ের কাছেও সে বার কম্পন অনুভূত হয়েছিল। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকায় যার প্রভাব বুঝতে পারে সাধারণ মানুষ। এ ভাবে বারবার কম্পনে স্বভাবতই আতঙ্ক বাড়ছে উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের মধ্যে।
আরও পড়ুন : CPIM West Bengal: বিজেপি বিরোধী ‘মহাজোট’? মমতার বার্তাকে ‘বিশ্বাস’ করতে চাইছে না বঙ্গ সিপিএম