শীতের সন্ধেয় আচমকা কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গ। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হল বৃহস্পতিবার সন্ধেয়। জানা গিয়েছে, কম্পনের উৎসস্থল ভুটানের থিম্পুতে। তারই প্রভাব পড়েছে এ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। এ দিন আচমকা কম্পনে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন উত্তরবঙ্গের বাসিন্দারা। অনেকেই ছুটে বেরিয়ে পড়েন রাস্তায়।
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ঠিক ৮ টা ১৬ মিনিটে এই কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪.৩। ভুটানের রাজধানী শহর থিম্পুই এই কম্পনের উৎসস্থল বলে জানা গিয়েছে। উৎসস্থলের গভীরতা ৬ কিলোমিটার।
বৃহস্পতিবার রাতে গোটা উত্তরবঙ্গের সঙ্গে জলপাইগুড়িতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্প টের পেয়ে আতঙ্কে ঘরছেড়ে বেরিয়ে আসেন মানুষজন।
আচমকাই ভূমিকম্প অনুভূত হয় ডুয়ার্সেও। আলিপুরদুয়ার জেলাতেও অনুভূত হয় ভূমিকম্প। আতঙ্কে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন শহরবাসী, আতঙ্কে কোথাও উলু আবার কোথাও শঙ্খধ্বনি দিতে দেখা যায় মহিলাদের।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, তিনি বাড়িতে বসেছিলেন, আচমকাই কেঁপে ওঠে গোটা বাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে ভয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। প্রতিবেশীরাও ততক্ষণে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছেন। ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেই রীতিমতো আতঙ্কিত।
২০২১-এর এপ্রিলে প্রবল কম্পন অনুভূত হয়েছিল ডুয়ার্স, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি সহ উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের মতো জেলাগুলিতেও। কলকাতাতেও অনুভূত হয় মৃদু কম্পন। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৪, যেটির কেন্দ্রস্থল ছিল সিকিম-নেপাল সীমান্ত। ভারত ও ভুটানের সীমান্তে পেডংয়ের কাছেও সে বার কম্পন অনুভূত হয়েছিল। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকায় যার প্রভাব বুঝতে পারে সাধারণ মানুষ।
গত বছরের শেষের দিকে, ২৬ নভেম্বর, সাত সকালে ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল কলকাতা। ভোরের দিকে কম্পন অনুভূত হয়েছিল। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে ১৭৫ কিলোমিটার পূর্বে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.১। ইন্দো-মায়ানমার সীমান্তের এই ভূমিকম্পের জেরে কলকাতার পাশাপাশি কেঁপে ওঠে ত্রিপুরা এবং অসমও।
আরও পড়ুন : Covid Rules: বিক্রেতা পিছু একজন করে ক্রেতা! নয়া নিয়ম জারি হচ্ছে কলকাতার বাজারে