Flood Situation: ফের বন্যা পরিস্থিতি! ৬৭ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে পাঞ্চেত-মাইথন, চাপ বাড়ছে দুর্গাপুর ব্যারাজেও
Flood Situation: বাঁকুড়ার পাশাপাশি বন্যার আশঙ্কায় ভয় বাড়ছে খানাকুলে। ভয় বাড়ছে ঘাটালেও। ইতিমধ্যেই ঘাটাল পৌরসভার ১৩টি ওয়ার্ড, এবং ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা সম্পূর্ণভাবে জলের তলায় চলে গিয়েছে।

ঘাটাল-খানাকুল: সকালের দিকে সামান্য রোদের দেখা মিললেও আকাশের যে মুড বিশেষ ভাল নেই তা বেলা বাড়তেই পরিষ্কার। ছত্তিসগঢ়, পঞ্জাব, অসমের আকাশে পাক খাচ্ছে তিন তিনটি ঘূর্ণাবর্ত। অন্যদিকে বাংলার আকাশে থাকা নিম্নচাপ সরে গিয়েছে ঝাড়খণ্ডে। ফলে পড়শি রাজ্যের বৃষ্টিতে চাপ বাড়ছে ডিভিসির। ইতিমধ্যেই মাইথন, পাঞ্চেত থেকে ৪৯ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে ডিভিসি।
ফুঁসছে বাংলার নদীগুলি। ফুঁসছে শিলাবতী, কংসাবতী। ফের বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা পশ্চিমের জেলাগুলিতে। জল বাড়ছে দারকেশ্বর, রূপনারায়ন নদীতেও। তথ্য বলছে মাইথন, পাঞ্চেত ব্যারাজ থেকে ছাড়া জল এদিন রাত সাড়ে দশটার মধ্যে এসে পৌঁছাবে দুর্গাপুরে। ফলে আরও চাপ বাড়বে দুর্গাপুর ব্যারাজের। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকেও ৬৭ হাজার ২৭৫ কিউসেক হারে জল ছাড়া হচ্ছে দুর্গাপুর থেকে। ফলে কলকাতা পার্শ্ববর্তী হুগলি, হাওড়াতেও বাড়ছে চাপ।
বাঁকুড়ার পাশাপাশি বন্যার আশঙ্কায় ভয় বাড়ছে খানাকুলে। ভয় বাড়ছে ঘাটালেও। ইতিমধ্যেই ঘাটাল পৌরসভার ১৩টি ওয়ার্ড, এবং ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা সম্পূর্ণভাবে জলের তলায় চলে গিয়েছে। ঘাটালের এক বাসিন্দা বলছেন, “অবস্থা এমন হয়েছে ঘর থেকে বের হওয়াই যাচ্ছে না। কারও যদি শরীর খারাপ হয় তাহলে সে ঘরেই মরে যাবে। ঘর থেকে বের করা যাবে না।” অন্যদিকে দ্বারকেশ্বরের একাধিক সেতু জলের তলায় চলে গিয়েছে। নদীপাড়ের এক বাসিন্দা বলছেন, “নদীর ধারে থাকি। খুবই ভয় লাগছে। কখনও জল বাড়ছে, কখনও জল কমছে! কখন কী হয়ে যায় তা তো বলা যায় না।”
