দূর্যোগ কাটলেও চরম বিপাকে কৃষকেরা। জলে ডুবে পচে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে পাকা ধান,পচছে আলু। হয়নি কৃষি ঋণ মুকুব, নতুন করে ঋণ না পেলে চাষ কী করবে ভেবে পথ পাচ্ছে না।
ঘাটাল মহকুমা এলাকার কৃষকরা বন্যার কবলে পড়ে তাঁদের জীবন যেন নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। তার ওপর গোদের ওপর বিষফোঁড়া জাওয়াদ। একেবারে নিঃস্ব করে ছেড়েছে মহাকুমার কৃষকদের।
এবছর এমনিতেই বন্যা আর বৃষ্টির দাপটে চাষীদের অবস্থা করুণ থেকে করুণতর। চাষিরা সাধারণতঃ কিছুটা সরকারি ঋণ কিছুটা মহাজনী ঋণ নিয়ে চাষ করে থাকেন। সেই চাষে একই বছরে তিনটি ফসল মার খেয়েচ্ছে ।
একদিকে চাষীদের একদিকে ব্যাংক ঋণের বোঝা বাড়ছে ।অন্য দিকে মহাজনী ঋণ শোধ করতে না পারায় আবার নতুন করে মাঠে চাষ করার সব পথ বন্ধ। ইতিমধ্যে মহকুমায় কৃষক আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে।
সব থেকে ক্ষতির মুখে চন্দ্রকোনা ১ ব্লক চাষীরা, চন্দ্রকোনা ২ ব্লকেও হয়েছে ক্ষতি। দিশেহারা কৃষক কোথাও কোথাও সমবায় সমিতির ম্যানেজারকে ঋণ মুক্তির দাবিতে ঘেরাও করেছে। দ্বারস্থ হচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের কাছে। সুরহা মিলছে না ।এমত অবস্থায় চাষীদের করুণ আর্তি সরকার তাদের ঋণ মুকুব করুক। পুনরায় চাষীদের ঋণ দিক।যাতে তারা পুনরায় চাষ করতে পারে ।