হুগলি: শ্রীরামপুরে এক যুবকের রহস্যমৃত্যু। শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের ঘোড়ামারা পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা পার্থ দাস (৩৮)। শুক্রবার রাতে তাঁর বাড়ি থেকেই দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার দেহের ময়নাতদন্ত হয় শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, পার্থ জমি কেনা বেচার ব্যবসা করতেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, জমি কেনা বেচার কাজে বেশ বড় অঙ্ক ধারদেনা করে ফেলেছিলেন পার্থ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের সময় ব্যবসায় মন্দা চলায় ধার করতে হয়। এদিকে পাওনাদাররাও সেই টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন বলে দাবি এলাকার একাংশের।
নিহতের প্রতিবেশি প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য প্রদীপকুমার দাস জানান, “পার্থ বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক চাপে ভুগছিলেন। এলাকায় জমির দালালি করতেন। তাতেই ঋণে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। এদিকে ঋণ করেছেন বলে পাওনাদাররাও টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। সব মিলিয়ে মানসিক চাপ বাড়ছিল।”
শুক্রবার বাড়িতে খাওয়া দাওয়া সেরে ঘরে যান পার্থ। এদিকে মা সন্ধ্যা প্রদীপ দিতে গেলে মায়ের কাপড় নিয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে। মা কিছুই বুঝতে পারেননি। পরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় বলে জানান প্রদীপকুমার দাস। একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার হয়েছে পার্থর ঘর থেকে। এই ঘটনায় কান্নার রোল পরিবারে। পার্থর ভাই দিল্লিতে চাকরি করেন। দাদার মৃত্যুর খবর পেয়ে ছুটে আসেন তিনি। শ্রীরামপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।