হুগলি: কখনও আয়কর অফিসার, কখনও সিআডি, কখনও সিবিআই এই সব সেজে লোক ঠকানোর খবর তো আগেই সামনে এসেছে। এবার রেলের অফিসার সেজে তোলাবাজির অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেফতার তিনজন। জানা গিয়েছে, এই প্রথম নয় এর আগেও হুগলিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে চারটি ঘটনা হয়েছে। শ্রীরামপুর, পোলবার পর এবার গুড়াপে রেলের অফিসার সেজে তোলাবাজির অভিযোগ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়লা বোঝাই একটি লরি গুড়াপ দশঘরা যাচ্ছিল। তেলেকোনা এলাকায় রেলের বোর্ড লাগানো একটি লাল রঙের টাটা সুমো গাড়ি লরিটির রাস্তা আটকে দাঁড়ায়। গাড়িতে চালক সহ তিনজন ছিলেন। অভিযোগ, তাঁরা লরির চালক বিকাশ কুমারের কাছে গাড়ির কাগজ পত্র দেখতে চান। তবে পুলিশ নয় অথচ কাগজ পত্র দেখতে চাইছে দেখেই সন্দেহ হয় লরি চালকের। কাগজ দেখাতে অস্বীকার করায় তাঁকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে সংশ্লিষ্ট অফিসারের বিরুদ্ধে। বড় কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মোটা টাকা দাবি করেন। এমনকী, প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
ওই রাস্তা ধারে টহল দিচ্ছিল গুড়াপ থানার পুলিশ। ঘটনা দেখে পুলিশের গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। লরি চালক আধিকারিকদের ঘটনা জানাতেই সুমো নিয়ে অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করে। যদিও সুমো সহ গাড়িটি আটক করে পুলিশ। ধৃত তিনজন জয়ন্ত দাস বিশ্বাস (২৯) ওরফে শুভ, বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি, শেখ সইফ আজম (৩১) ওরফে ছোট্ট, বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক এবং সুবাস কর্মকার, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি এলাকায়। লরি চালকের অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃত তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। রবিবার তিনজনকে আদালতে পেশ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গোটা ঘটনায় বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি লাল রঙের টাটা সুমো গাড়ি। বস্তুত, এর আগে শ্রীরামপুরে আয়কর অফিসার সেজে সোনার দোকানে লুঠের ঘটনা ঘটেছিল। এরপর রিষড়ায় সিআইডি সেজে গাড়ি নিয়ে ঘোরার সময় ধরা পরে ছয়জন। পোলবায় আবার সরকারি অফিসার সেজে নীলবাতি গাড়ি নিয়ে তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার তিনজন।