চণ্ডীতলা: শিশু এবং অন্তঃসত্ত্বাদের পুষ্টির বিষয়টি নিশ্চিত করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খাবার দেওয়া হয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে। কিন্তু প্রায়শই সেই সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারের মান নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। পাশাপাশি যে সব জায়গায় রান্না করা হয়, সেখানকরা স্বাস্থ্যবিধি নিয়েও সরব হতে দেখা যায় স্থানীয়দের। এ ছাড়াও চালে পোকা, নিম্নমানের ডাল এ বিষয়গুলি তো আছেই। এর মধ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না করা খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল পাঁচ শিশু এবং দু’জন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। ওই শিশুদের অভিভাবকদেরক অভিযোগ, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না করা খাবারে টিকটিকি পড়েছিল। সেই খাবারই বুধবার খেতে দেওয়া হয় অন্তঃসত্ত্বা এবং শিশুদের। তা খেয়েই বিষক্রিয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এর পরই ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার চণ্ডীতলার একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।
অন্যান্য় দিনের মতই এ দিন সকালেও চন্ডীতলা থানার জানাই গ্রাম পঞ্চায়েতের বারাসাত এলাকার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না হয়েছিল। রান্না করা সেই খাবার দেওয়া হয় শিশু ও অন্তঃসত্ত্বাদের। খাবার খাওয়ার পর থেকেই একে একে অসুস্থ হয়ে যায়। এখনও পযন্ত পাঁচ জন শিশু ও দু’জন অন্তঃসত্ত্বা মহিলার অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। তাদের সকলকেই চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনার কথা এলাকায় জানাজানি হতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় চণ্ডীতলা থানার পুলিশ। আসেন ব্লক আধিকারিকরাও। তাঁরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
যদিও এই ঘটনার পরই ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নিয়মিত খাবার খাওয়া অন্য শিশুদের অভিভাবকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালের স্বাস্থ্য আধিকারিক অনুজ কুমার দাস জানিয়েছেন, চিকিৎসা পরিষেবার জন্য ইতিমধ্যেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চণ্ডীতলা দু’নম্বর ব্লকের আধিকারিক শৌভিক ভট্টাচার্য বলেছেন, “আইসিডিএস সেন্টারে খাদ্যে বিষক্রিয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। প্রশাসনিক ভাবে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”