life imprisonment: সন্দেহের বশে এলোপাথাড়ি কোপ মেরেছিল স্বামী, ৪ আঙুল হারিয়ে ২ বছর পর ‘শান্তি’ পেলেন মহিলা

life imprisonment: সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, অভিযুক্ত প্রদীপ মেটের বিরুদ্ধে তদন্তকারী অফিসার সুবীর গোস্বামী ২২ নভেম্বর ২০২২ সালে চার্জশিট জমা দেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১,৩০৭,৩২৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। ১৫ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। শুক্রবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন চুঁচুড়া জেলা আদালতের তৃতীয় দায়রা বিচারক অরুন্ধতী ভট্টাচার্য।

life imprisonment: সন্দেহের বশে এলোপাথাড়ি কোপ মেরেছিল স্বামী, ৪ আঙুল হারিয়ে ২ বছর পর 'শান্তি' পেলেন মহিলা
এলোপাথাড়ি কাটারির কোপে দুই হাতের চারটি আঙুল হারান মহিলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 06, 2024 | 3:38 AM

পোলবা: কাটারির কোপে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিলেন। বাদ যায় দুই হাতের চারটে আঙুল। মুখের উপরের পাটির দাঁত হারানোর থেকেও বেশি পীড়া দিয়েছিল স্বামীর কাছ থেকে এই আঘাত। যাঁর সঙ্গে প্রায় ২২ বছর সংসার করছেন, সেই স্বামীই তাঁকে খুনের চেষ্টা করেন। সেই কষ্ট বুকে বয়ে নিয়ে বেড়িয়েছেন। ২ বছর পর সেই আঘাতে মলম লাগল দোষী সাব্য়স্ত ব্য়ক্তির যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণায়।

হুগলির পোলবা থানার সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধূমা গ্রামের বাসিন্দা পূর্ণিমা মেটে। সুগন্ধার একটি বি ফার্মা কলেজের হস্টেলে ওয়ার্ডেনের কাজ করেন। ২০২২ সালের ৩ জুন বাড়ি থেকে কলেজে যাওয়ার পথে কামদেবপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে পথ আটকায় তাঁর স্বামী প্রদীপ মেটে। আচমকা কাটারি দিয়ে কোপাতে শুরু করেন। মহিলা দুই হাত দিয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। দুই হাতের চারটে আঙুল কেটে মাটিতে পড়ে যায়। মুখে কাটারির কোপ লাগে। উপরের পাটির সব দাঁত কেটে পড়ে যায়। ঘাড়ে, হাতে এলোপাথাড়ি কোপে ক্ষতবিক্ষত হন পূর্ণিমা। সেই ক্ষত নিরাময় হলেও মনের ক্ষত পূরণ হয়নি। শনিবার চুঁচুড়া আদালতে তাঁর স্বামীর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণায় কিছুটা হলেও শান্তি পেলেন বলে জানান পূর্ণিমা। পুলিশি তদন্তে খুশি তিনি।

সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, অভিযুক্ত প্রদীপ মেটের বিরুদ্ধে তদন্তকারী অফিসার সুবীর গোস্বামী ২২ নভেম্বর ২০২২ সালে চার্জশিট জমা দেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১,৩০৭,৩২৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। ১৫ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। শুক্রবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন চুঁচুড়া জেলা আদালতের তৃতীয় দায়রা বিচারক অরুন্ধতী ভট্টাচার্য। এদিন যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা শোনান।

পূর্ণিমার মা পারুল পাল বলেন, “মেয়েকে সন্দেহ করত জামাই। মেয়ে বাইরে কাজে যায়, সেটা পছন্দ ছিল না। বাড়িতে অশান্তি করত। অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। মেয়েকে মেরেই ফেলেছিল। কোনও ভাবে বেঁচেছে। একমাত্র নাতনিকে একাই বড় করছে।”

সরকারি আইনজীবী জানান, মহিলার অবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছিল যে চুঁচুড়া হাসপাতালে তাঁর মৃত্যুকালীন জবানবন্দি নিয়ে রাখা হয়েছিল। প্রায় সাতাশ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে ফিরেছে। খুব দ্রুত এই মামলার তদন্ত শেষ হয়। এবং সাজা ঘোষণা হল।