Dengue: আক্রান্ত ৫ হাজারের বেশি! হুগলিতে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 05, 2022 | 6:12 PM

Hooghly: গত সপ্তাহে পর-পর দু'দিকে শ্রীরামপুরে মৃত্যু হয়েছে দুই মহিলার। উৎসব শেষ হতেই রীতিমত ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি।

Dengue: আক্রান্ত ৫ হাজারের বেশি!  হুগলিতে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি
ডেঙ্গিতে জর্জরিত হুগলি (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

শ্রীরামপুর: রাজ্যে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। হাসপাতালের বেডে পরপর টাঙানো মশারি।শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে এমনই ছবি চোখে পড়ল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রায় ষাটজন ডেঙ্গি রোগি ভর্তি রয়েছে এখানে। তবে অনেকেরই চিকিৎসা চলছে বাড়িতে।

গত সপ্তাহে পর-পর দু’দিকে শ্রীরামপুরে মৃত্যু হয়েছে দুই মহিলার। উৎসব শেষ হতেই রীতিমত ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি। হুগলি জেলার ডেঙ্গি পরিসংখ্যান বলছে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ হাজারের বেশি। সক্রিয় রোগি ৬০০ জন। উত্তরপাড়া, কোন্নগর ও শ্রীরামপুরে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর ও রিষড়ায় ডেঙ্গি আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি। নতুন করে বৈদ্যবাটি, চন্দননগর, ডানকুনিতেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।শহরাঞ্চলের পাশাপাশি ব্লক ও গ্রামাঞ্চলে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ।

এরপর আজ শ্রীরামপুর পুরসভার সামনে মশারি নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আদকের অভিযোগ, গত এক মাস ধরে ডেঙ্গি বাড়তে বাড়তে কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে।পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্ত প্রায় পঞ্চাশ হাজার।বিনা চিকিৎসায় লোক মারা যাচ্ছে। উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই ডেঙ্গি মোকাবিলার।মানুষ অসহায়।আহ্বান করব পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে কেন্দ্র সরকারের থেকে সাহায্য নিতে।’

অপরদিকে, তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের স্বামী ও সন্তান ডেঙ্গি আক্রান্ত নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন।বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘যাঁরা শাসক তাঁদেরও ঘরেও ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছে। তারমানে বোঝা যাচ্ছে তারা কতটা উদাসীন। সরকার মানুষের সচেতনতা বাড়াবে কিন্তু তা দেখা যাচ্ছে না।’

অপরদিকে, পুরসভার বাসিন্দাদের অভিযোগ, আবর্জনা সময়মত পরিষ্কার করা হয় না। অস্থায়ী ভ্যাটে আবর্জনার স্তুপ জমে থাকে।

শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গিরিধারী সাহা বলেন, ‘পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীরা কাজ করছেন। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়া থেকে জল জমতে না দেওয়া। ডেঙ্গি মরসুমি ব্যাপার।শীত পড়লে কমবে। কিন্তু ডেঙ্গি কাম্য নয়। আমরা আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়েছি। জল জমাটা হচ্ছে ডেঙ্গির উৎস। সেটা যাতে না হয় তারজন্য প্রচার চলছে। যেসব ওয়ার্ড বেশি আক্রান্ত সেই এলাকায় ফিভার ক্যাম্প করা হচ্ছে। বিনামূল্যে রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে।’

জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকেও বলা হচ্ছে জ্বর হলেই রক্তপরীক্ষা করতে। সরকারি হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।২৪ ঘন্টা ল্যাব খোলা হয়েছে।

এ বিষয়ে হুগলি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভূঁইয়া বলেন, ‘জেলার তিনটি পুরসভায় ডেঙ্গি আক্রান্ত এক হাজারের বেশি। নতুন করে কয়েকটি পুরসভা যোগ হচ্ছে। এর জন্য পাঁচটা বড় হাসপাতালে ডেঙ্গি পরীক্ষা হয়। ইমারজেন্সিতেও জ্বর নিয়ে কেউ এলে তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্লেটলেট কাউন্টের সঙ্গে সাধারণ রোগিদের ডেঙ্গি পরীক্ষাও করা হচ্ছে। শ্রীরামপুরে শুধু ডেঙ্গি নয় ম্যালেরিয়াও দেখা যাচ্ছে। তাই জ্বর হলে হেলাফেলা করা যাবে না। জ্বর পুশে না রেখে হাসপাতালে গিয়ে পরীক্ষা করিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।খাবার অরুচি থাকলে লিকুইড খাবার খেতে হবে। জল খেতে হবে বেশি করে। অনেক সময় দেখা যায় রোগিরা দেরি করে আসেন, তখন আর কিছু করার থাকে না।’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গি মশা এডিস চেনার ক্ষেত্রে পতঙ্গবিদের সাহায্য নেওয়া হয়।কিন্তু পুরসভা গুলোতে স্থায়ী কোনো পতঙ্গবিদ নেই। ডেঙ্গির লার্ভা কোনটা তা জানতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে একজন পতঙ্গবিদকে নিযুক্ত করা হয়েছে।’

Next Article