হুগলি: সমবায় ব্যাঙ্কের দখল নিয়ে তুমুল ঝামেলার অভিযোগ উঠল পাণ্ডুয়ায়। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দিকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পাণ্ডুয়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
অভিযোগ, গত ১৬ মে পাণ্ডুয়ায় বেড়েলা সমবায়ের নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে তৃণমূল নেতা আব্দুল মান্নানের ১১ জন অনুগামী জয়ী হন। অন্যদিকে অপর এক তৃণমূল নেতা অমর ঘোষের পাঁচজন অনুগামীও জেতেন সেই ভোটে। এরপরই সোমবার ছিল সমবায়ের বোর্ড গঠন। অভিযোগ, এই বোর্ড গঠনের আগেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। ১৬ মে’র পর থেকেই হাওয়া গরম হচ্ছিল।
এরইমধ্যে সোমবার অভিযোগ ওঠে, তৃণমূল নেতা অমর ঘোষ তাঁর দলীয় কার্যালয়ে মান্নান-গোষ্ঠীর পাঁচজনকে তুলে নিয়ে যায়। বাধা দিতে গেলে চেয়ার, রড দিয়ে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে তৃণমূল কর্মীরা সেখানে জমায়েত করেন বলে মান্নান-গোষ্ঠীর দাবি। তুমুল উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ততক্ষণে খবর দেওয়া হয় পাণ্ডুয়া থানায়। তৃণমূলের হুগলি জেলা পরিষদ সদস্য রূপা ভট্টাচার্য বলেন, “ভোটাভুটি হবে বলে কথা ছিল। তার আগেই আমাদের পক্ষের ১১ জন সদস্যের মধ্যে পাঁচ জনকে তুলে নিয়ে যায় অমর ঘোষের লোকজন। তিন জনকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। ওরা হেরে গিয়েছে। তারপরও জোর করে সমবায় দখল করতে চাইছে।”
যদিও তৃণমূল নেতা অমর ঘোষ এই অভিযোগ মানতে নারাজ। উল্টে তিনি দায় ঠেলেছেন আব্দুল মান্নানের অনুগামীদের দিকেই। অমর ঘোষ বলেন, “আজ খেলা হবে দিবস। তা নিয়ে আমি দলীয় কার্যালয়ে বৈঠক করছিলাম। দলীয় কর্মীরা সেখানে ছিলেন। এরই মধ্যে ওরা এসে গোলমাল শুরু করে। মারধর করে আমাদের ছেলেদের। এমনকী দলীয় কার্যালয়ে পর্যন্ত ভাঙচুর চালিয়েছে। আসলে ওরা চাইছে যাতে আমরা সমবায়ে না যেতে পারি।”
এ প্রসঙ্গে বিজেপির হুগলি যুব মোর্চার সভাপতি সুরেশ সাউ বলেন, “এরা সমবায় ব্যাঙ্কটাকেও ছাড়ছে না। পাণ্ডুয়ায় আজকে যে ঘটনা ঘটেছে এটাকে ওরা খেলা হবে বলবে না কী বলবে তা আমি জানি না। কিন্তু এখন ব্যাঙ্ক নিয়ে যে দখলদারি শুরু হয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে কী পরিস্থিতি। ব্যাঙ্ক দখল নিয়ে ওরা তো লড়বেই। এই সমবায়েই তো ওরা যে কাটমানি নেয় তার প্রচুর টাকা জমা পড়ে। কাটমানি, কালো টাকা তো এখানেই সাদা করে তৃণমূল। তাই সমবায় দখল নিয়ে এখন তৃণমূলের দলাদলি শুরু। কারা ব্যাঙ্ক দখলে রাখবে তা নিয়ে ঝামেলা করছে।” আরও পড়ুন: বিজেপির ‘পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও’ কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার, দিলীপ ঘোষকে ধরে টানাহ্যাঁচড়া পুলিশের