গোঘাট: সাত বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন সন্দীপ ও পম্পা। কিন্তু মেয়ের বাড়ির লোকেরা কিছুতেই মেনে নেননি এই বিয়ে। বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেছিল দু’জনে। পম্পা মাঝে মধ্যে আসতেন বাপের বাড়িতে। কিন্তু জামাইয়ের একেবারেই আসা-যাওয়া ছিল না। স্থানীয় সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, স্ত্রী যখন বাপের বাড়িতে আসতেন, তখন সন্দীপ তাঁকে পৌঁছে দিয়ে মামার বাড়িতে যেতেন। আজও সেরকমই হয়েছিল। কিন্তু সন্ধেবেলা আচমকা সন্দীপের শ্বশুর-শাশুড়ি চ্যালাকাঠ ও লাঠি নিয়ে জামাইয়ের দিকে তেড়ে আসে এবং প্রচণ্ড মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর রাতেই মৃত্যু হয় সন্দীপ রুইদাস নাম বছর তেইশের ওই যুবকের। সোমবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গোঘাটের রঘুবাটী এলাকায়।
সোমবার সন্ধের এই ঘটনার পর ইতিমধ্যেই নিজের বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে গোঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন শম্পা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে গোঘাট থানার পুলিশও। গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত শ্বশুর ভানু দাস ও শাশুড়ি অসীমা দাসকে।
সোমবার রাতের এই ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য পড়েছিল। জানা যাচ্ছে, মৃত ওই যুবকের বাড়ি বাঁকুড়ার কোতুলপুর এলাকার মদনমোহনপুরে। ঘটনার খবর পেয়ে যুবকের গ্রামের লোকেরা গোঘাটে পৌঁছে যায়। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তাঁর স্ত্রী। এদিকে ঘটনার পর গোঘাট থানার পুলিশও সেখানে পৌঁছে যায় এবং দেহটি উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এলেই স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ। স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে মৃতের শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।